Thikana News
২৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

নির্বাচন পিছাতে পারে পাকিস্তানে! শেষ মুহূর্তে প্রতীক বদলে জটিলতা বাড়ছে

নির্বাচন পিছাতে পারে পাকিস্তানে! শেষ মুহূর্তে প্রতীক বদলে জটিলতা বাড়ছে ছবি : সংগৃহীত



 
পাকিস্তানে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। তবে সেই তারিখ পিছিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, পাকিস্তানে বিভিন্ন পার্টির মধ্যে প্রতীক-বদলের ধারা এখনও জারি রয়েছে, যার জেরে গোটা প্রক্রিয়ায় দেরি হতে পারে বলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সতর্ক করেছে। উল্লেখ্য, কোনও কোর্টের নাম না করে নির্বাচন কমিশন বলছে, যদি এইভাবে পার্টির প্রতীক বদলের নির্দেশ আসতে থাকে, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পড়েছে বড়সড় জটিলতায়। তারা ইতিমধ্যেই কিছু রাজনৈতিক দলের প্রতীক বদলের নির্দেশ পেয়ে তারা ব্যালট পেপার ছাপারও নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের তিনটি বড় প্রিন্টিং প্রেসকে। এরপরও যদি প্রতীক বদলের নির্দেশ আসে, তাহলে সেই পুরনো ব্যালট বাতিল করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রক্রিয়ায় দেরি হবে, বলে জানানো হচ্ছে।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন বলছে, ‘যদি প্রতীক বদলের ধারা এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে আমাদের আশঙ্কা ভোটে দেরি হতে পারে, কারণ, ব্যালট ফের নতুন করে ছাপতে হবে, যার জন্য লাগবে সময়। যে সময় ইতিমধ্যেই খুব সীমিত। অন্যদিকে, ব্যালটের জন্য স্পেশ্যাল পেপারও নতুন করে ছাপতে হবে।’

একইসঙ্গে কমিশন বলছে, আগের থেকে ভোটে পাকিস্তানে ৩৩ শতাংশ বেড়েছে প্রার্থীপদ। ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তানে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১১,৭০০ জন, আর ২০২৪ এর ভোটে সেই সংখ্যা ১৮,০৫৯ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২২০ মিলিয়ন ব্যালট পেপার ছাপতে দিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

কমিশনের বিবৃতি সাফ বলছে, ‘যদি দলগুলির প্রতীক বদলের ধারা পরিবর্তন না হয়, তাহলে কিছু কেন্দ্রে ভোট পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া রাস্তা নেই।’ জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এই প্রতীক বদল রুখতে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারদের এই প্রতীক বদলে সম্মতি দিতে বারণ করেছে।

পরিস্থিতির মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশন তার সংশ্লিষ্ট মহলের কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে, এই প্রতীক বদলের সম্মতি সহজে না দিতে। কারণ, যেহেতু ব্যালট পেপার ইতিমধ্যেই অনেকাংশে ছাপা হয়ে গিয়েছে, সেক্ষেত্রে গোটা পর্বে সমস্যা বাড়তে পারে। আপাতত অপেক্ষা এই পরিস্থিতি কাটিয়ে পাকিস্তানের ভোটের। যে ভোটে লড়তে পারছেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি নানান অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে জেলবন্দি বর্তমানে। ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ।

কমেন্ট বক্স