Thikana News
২৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

৯ তরুণ-তরুণীকে হত্যাকারী জাপানি সিরিয়াল কিলারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

৯ তরুণ-তরুণীকে হত্যাকারী জাপানি সিরিয়াল কিলারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ছবি সংগৃহীত



 
জাপানে ‘টুইটার কিলার’ নামে পরিচিত সিরিয়াল কিলার তাকাহিরো শিরাইশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও আত্মহত্যাপ্রবণ তরুণ-তরুণীদের সহানুভূতির নামে ফাঁদে ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করতেন তিনি। ২০২২ সালের পর এটাই জাপানে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা।

শুক্রবার (২৭ জুন) এই যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শিরাইশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহার করে নিজের শিকার বেছে নিতেন। তার প্রোফাইলে লেখা ছিল, ‘যারা কষ্টে আছেন, আমি তাদের সাহায্য করতে চাই। চাইলে সরাসরি মেসেজ করুন।’ এই কথার ফাঁদে পড়ে একের পর এক তরুণ-তরুণী তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। প্রতারণার মাধ্যমে তাদের আস্থায় নিয়ে শিরাইশি নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ডেকে এনে হত্যা করতেন। নিহত তরুণীদের মধ্যে বেশির ভাগই ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী।

২০১৭ সালের অক্টোবরে পুলিশ এক নিখোঁজ তরুণীর সন্ধানে গিয়ে শিরাইশির বাড়িতে ভয়াবহ দৃশ্যের মুখোমুখি হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় নয়টি ছিন্নভিন্ন দেহাবশেষ। ওই ফ্ল্যাটটি পরে সংবাদমাধ্যমে ‘হরর হাউস’ ও তাকাহিরো শিরাইশি ‘টুইটার কিলার’ নামে পরিচিতি পান।

তদন্তে বেরিয়ে আসে, ওই তরুণীসহ নয়জনকে খুন করেছেন শিরাইশি। আদালতে প্রথমে তার আইনজীবীরা দাবি করেন, নিহত তরুণ-তরুণীরা স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণে সম্মত ছিলেন, ফলে এটিকে ‘সম্মতিমূলক হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে গণ্য করা উচিত। কিন্তু পরে শিরাইশি নিজেই এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন এবং স্বীকার করেন, তিনি কারও সম্মতি ছাড়াই হত্যা করেছিলেন।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তার রায় শুনানিতে কয়েক শ মানুষ অংশ নেন। এ ঘটনায় টুইটার (বর্তমানে এক্স) আত্মহত্যা বা আত্মঘাতকে উৎসাহিত করা-সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তন করে।

জাপানের আইনমন্ত্রী কেইসুকে সুজুকি এক বিবৃতিতে জানান, শিরাইশির কাজ নিছক আত্মস্বার্থপরতা এবং যৌন ও অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণের জন্য সংঘটিত হয়েছে। তার অপরাধ সমাজে প্রবল আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ তিনি নিজেই দিয়েছেন।

এই ঘটনা জাপানে অনলাইন নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা-সংক্রান্ত নীতিতে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অপরাধ কতটা সহজ হয়ে পড়ছে, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স