Thikana News
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঠকবাজ প্রতারক থেকে সমাজসেবক

ঠকবাজ প্রতারক থেকে সমাজসেবক


ঠিকানা রিপোর্ট : নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে প্রতারক ও ঠকবাজদের দৌরাত্ম চরম আকার ধারণ করেছে। নানা বেশভুষায় তারা কমিউনিটিতে নিজেদের শো-অফ করে ধোকা দিচ্ছে সহজ-সরল প্রবাসীদের। 
এসব প্রতারক কখনো ব্যবসায়ী, কখনো সমাজসেবক, আবার কখনো মূলধারার রাজনীতিক পরিচয় দিয়ে কসিউনিটিতে বিশেষ ফায়দা লুটছে। সর্বস্বান্ত করেছে বহু প্রবাসীকে। তাদের প্রতারণার রকমফের রয়েছে। নিউইয়র্কে এমন ১১ জন প্রতারক ও ঠকবাজ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে।  ২০১৬ সালে কুমিল্লার এক পেশাদার প্রতারক ও ঠকবাজ ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আসে। এর আগে সে মালয়েশিয়া ও দিল্লীতে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতো। প্রথমে মালয়েশিয়ার ট্রাভেল ব্যবসায়ীকে পথে বসায়। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে আসে দিল্লীতে। সেখানকার এক ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি নেয়। কিছুদিন সেই ট্রাভেল এজেন্সিকে পথে বসিয়ে সপরিবারে চলে আসে নিউইয়র্কে। ঠিকানার এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৬ সালে দিল্লীর যুক্তরাষ্ট্ররে। প্রথমে একা এক সপ্তাহের জন্য ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে আসে। এর কিছু দিন পর স্ত্রী-পুত্র-কন্যাদের নিয়ে সপরিবারে আসার পর প্রথমে টিকে থাকার জন্য ছোটখাটো ‘অড জব’ করতো। ঘাপটি মেরে থাকতো। বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিল তার চলাফেরা। মোসাহেবি সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠে। বছর তিনেক পর নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তার পুরনো প্রতারণা পেশায়। ৭ বছরে এই প্রতারক-ঠকবাজ অর্থ পাচারের (হুন্ডি) সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এতে তার ভাগ্য খুলে যায় রাতারাতি। হাতে আসে কাঁচা অর্থ। আর সেই অবৈধ অর্থের জোরে ভারতীয় হয়েও বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি ঘটে দাতা হিসাবে। 
ঠিকানার অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই প্রতারক-ঠকবাজ নিজেকে ভারতীয় গুপ্তচর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ফায়দা লুটছে। কখনো আবার নিজেকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী পরিচয় দিচ্ছে। তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারানোর পথে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির একজন ব্যবসায়ী। যদিও অভিযোগ রয়েছে, ওই ব্যবসায়ী একই কায়দায় ব্যবসায়ী হয়েছেন। যার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন তাকে নানা ফাঁদে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্ট করিয়েছেন। এরপর দখল করেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ওপেন সিক্রেট। অথচ প্রতারক-ঠকবাজ কাটা হয়ে ওই ব্যবসায়ীর গলায় আটকে আছে। প্রতারককে ওই ব্যবসায়ী না পারছেন গিলতে, না পারছেন ফেলতে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রতারকের সঙ্গে তাকেও দেখা যায় সমাজসেবক হয়ে উপস্থিত থাকতে। 
জানা গেছে, ওই প্রতারক এতই ধুরন্ধর যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলেও ১৮টি প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে নিজের নামে একটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছেন। করেছেন নিজের নামে ফাউন্ডেশন। ২০২০ সালের বৈশ্বির মহামারী করোনার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহায়তার নামে আদায় করেছেন প্রায় ৩৭ হাজার ডলার। অথচ একটি ডলারও সে খরচ করেনি। পরে ওই অর্থ একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর পেছনে খরচ করে তার মনে ঠাঁই করে নেয় প্রতারক। এরপর ওই ব্যবসায়ীর নিলামের বাড়ি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে নিজেকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ক্ষেত্র বাড়াতে থাকে। সিলেটে বনার্তদের সহায়তার নামে প্রবাসের একটি আঞ্চলিক সংগঠনের নামে তহবিল সংগ্রহ করে ওই প্রতারক। উত্তোলিত অর্থের বড় অংশ নিজের পকেটে রেখে ওই সংগঠনকে কিছু অর্থ দেয়। কথিত ১৮টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গড়া একটি ব্যবসায়ী গ্রুপ ও ফাউন্ডেশনের প্রধান পরিচয় দেবার পরও তার প্রধান কার্যালয় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি বাসার বেসমেন্ট। সেখানে দুটি চেয়ার টেবিল ছাড়া কিছুই নেই। ভারতীয় পরিচয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরও তার অবাধ বিচরণ বাংলাদেশি কমিউনিটিতে। সর্বশেষ একটি সংগঠনের ইফতার অনুষ্ঠানে এই প্রতারক মোটা অংকের অনুদান দেয়। পরে একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের ইফতার অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাকে দেখা গেছে। 
একটি সূত্র জানায়, এই প্রতারক তার বাবার মৃত্যুর পর মানুষের কাছে হাত পেতে মিলাদ মাহফিল করেছে। কারো কাছ থেকে ৫০ ডলার, আবার কারো কাছ থেকে ১০০ ডলার নিয়েছে। এখন বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে হাজার হাজার ডলার খরচ করে লোকদেখানো অনুষ্ঠান করছে। যারা তাকে আগে অনুদান দিত, তারাই এখন এই প্রতারকের পেছনে ঘুরছে। 
সূত্র মতে, এই প্রতারক মূলত হুন্ডি ব্যবসায়ী। এক ফোনেই পাচার করেন মিলিয়ন ডলার। হুন্ডির মাধ্যম বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজদের পাচার করা অর্থ ভারত হয়ে নিউইয়র্কে এনে পুনরায় রেমিট্যান্স হিসাবে পাঠিয়ে বৈধ করে দিচ্ছে এই পেশাদার প্রতারক। পাচ্ছে মোটা অংকের কমিশন। সম্প্রতি তার হুন্ডির খবর জানাজানি হওয়ায় তার সঙ্গে যারা প্রকাশ্যে চলতেন তারাও নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি জানতাম না যে সে একজন ভারতীয়। যখন জানতে পারলাম এবং যখন জানলাম হুন্ডি তার প্রধান পেশা,তখন সরে এসেছি।’ 
ভারতীয় নাগরিকত্ব দাবিদার ওই প্রতারক তার প্রতারণার শাখা-প্রশাখা বিস্তৃতি করতে কথিত সমাজসেবক সাজার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বাংলাদেশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কমিটিতেও জায়গা করে নিয়েছে। তার প্রতারণার কৌশল এতটা ভয়াবহ যে কেউ কিছু বোঝার আগেই সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। 
জানা গেছে, ওই কথিত ভারতীয় তার প্রতারণার কৌশল হিসাবে যার অর্থ আছে তাকে টার্গেট করে। তার পেছনে মোটা অংকের অর্থ বিনিয়োগ করে। প্রথমে তাকে ব্র্যান্ডের দামি গিফট দেয়। এরপর কোনো এক সময় বিশ্বাস স্থাপন করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। ওই অর্থ এমএলএম কায়দায় বিনিয়োগ করে। অর্থাৎ যার পেছনে ৫ হাজার ডলার ব্যয় করে, তার কাছ থেকে ১০ হাজার ডলার হাতিয়ে নেয়। এরপর ওই ১০ হাজার ডলার আরেকজনের পেছনে বিনিয়োগ করে ২০ হাজার ডলার হাতিয়ে নেয়। এভাবে তার প্রতারণার ক্ষেত্র বড় করছে। 
নিউইয়র্কে এমন কমপক্ষে ১০ জন প্রতারকের খবর পাওয়া গেছে, যারা বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাগজে-কলমে। ঠিক ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই’ প্রবাদ বাক্যের মত। 
এক প্রতারক-ঠকবাজ আছে যার দাপ্তরিক কোনো স্বীকৃতি না থাকার পরও কমিউনিটিতে নিজেকে বিশেষ পরিচয় দিচ্ছেন। অথচ যে প্রতিষ্ঠানের বিশেষ পরিচয় দিচ্ছে, সেই প্রতিষ্ঠানের কোথাও তার নামটি নেই। বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। এই ব্যক্তি হুন্ডি ব্যবসায়ী হিসাবে কমিউনিটিতে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেকে বলাবলি করছেন যে ভারতীয় নাগরিক দাবিদার ওই হুন্ডি ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার বিশেষ সখ্যতা রয়েছে। তাদের হুন্ডি ব্যবসার নেটওয়ার্ক একই। 
নিউইয়র্কে একজন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী আছে, যারা প্রতারক ও ঠকবাজ হিসাবে পরিচিত ছিল। করোনার পর একটি ব্যবসা তাদের ভাগ্য খুলে যায়। প্রতারক চক্রটির অভিন্ন ধান্ধা। আর এসব নিয়ে এখন নিজেদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গেছে। এটি বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ওপেন সিক্রেট। 
এদিকে করোনা মহামারীর পর ব্যবসায়ী হিসাবে তাদের অনেকে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে বিপুল এমপ্লয়ার দেখিয়ে মোটা অংকের পিপিপি লোন নিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে কর্মচারি দেখিয়ে পিপিপি অফেরতযোগ্য অর্থ ব্যয় দেখিয়েছে। পরে ওই অর্থে অনেকেই বাড়ি গাড়ি কিনেছে। রাষ্ট্রের অর্থ লোপাট করে বিলাসী জীবনযাপন করছে। অথচ কয়েক বছর আগেও তাদের সেই ‘ফুটানি’ ছিল না। এখন তারা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে নারীর উপস্থিতি বেশী সেসব অনুষ্ঠানে অনুদান দেয়। মঞ্চে নিজেদের ব্যবসায়ীর পাশাপাশি সমাজসেবক পরিচয় দিচ্ছে। আর অর্থ পাওয়ায় চালচুলোহীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি কমিউনিটির প্রতারকদের সমাজসেবক বানাতে সহযোগিতা করছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। 
বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আরেক প্রতারক আছে যাকে দামি গাড়িতে ঘুরতে দেখা যায়। সবসময় ফিটফাট দেখা যায়। দামি সুগন্ধী ব্যবহার করে। একটি সংগঠনের সভাপতিও সে। অথচ তার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। কোনো বৈধ আয় নেই। অথচ তাকে কমিউনিটির এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই যে দেখা যায় না। ‘মাছের তেলে মাছ ভাজা’ প্রবাদটি অনেকেই তাকে উদ্দেশ্য করে বলে থাকেন। এক ডলার খরচ না করেও বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে তাদের পকেটের ডলার খসাচ্ছে এই প্রতারক। 
জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে নিউইয়র্কের একজন ব্যবসায়ীর মৃত্যুর পর এই প্রতারক ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হাল ধরে। নিজেকে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার দাবি করতে শুরু করে। কিন্তু তার প্রতারণা বেশীদূর যেতে পারেনি। মারা যাওয়া ওই ব্যবসায়ীর পরিবার বর্তমানে ব্যবসার হাল ধরেছেন। মরহুম ব্যবসায়ীর কর্মচারি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রতি সপ্তাহে একটি অর্থ দিচ্ছেন কোনো কাজ ছাড়াই। অনেকটা লটারি জেতার মতই প্রতি সপ্তাহে ফিটফাট হয়ে সব অনুষ্ঠানে যাচ্ছে প্রতারকটি। অনুষ্ঠানে নারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে তাকে দেখা যায়। অথচ প্রতারকের স্ত্রীকে কেউ কখনো দেখেননি কোনো অনুষ্ঠানে।  
কমিউনিটিতে আরেক প্রতারক আছে যার বৈধ আয় না থাকার পরও বাড়ি-গাড়ির মালিক। যেসব অনুষ্ঠানে নারীর উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা আছে সেসব অনুষ্ঠানে অনুদান দিচ্ছেন। 
কমিউনিটিতে সম্প্রতি বেশ আলোচিত একজন প্রতারক, যে স্ত্রী-সন্তান থাকার পরও দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করেছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে। কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এই প্রতারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলেন। কিন্তু তার প্রতারণার জাল এত বিস্তৃত যে সে সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। 
কমিউনিটির একজন কথিত একজন ব্যবসায়ী আছে যার প্রধান ব্যবসা ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করা। অন্তত তিনশ ক্রেডিট কার্ড আছে তার, যার মালিক সে নয়। বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য চুরি করে ক্রেডিট কার্ড আবেদন করে সে। এরপর লেনদেন করে লিমিট বাড়িয়ে নিয়ে রাতারাতি অর্থ তুলে ফেলে সে। বর্তমানে নিজ ব্যবসার কোনো অস্তিত্ব নেই এই প্রতারকের। রাতের বেলা জ্যাকসন হাইটসে অবস্থিত কথিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দরজা আটকে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করাই তার প্রধান পেশা। অথচ এই প্রতারকই কমিউনিটিতে সমাজসেবক হিসাবে। প্রতারণা ধরা পড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারানোর পর দখল করা বাড়িও হারানোর পথে এই প্রতারককে এখন আর কমিউনিটিতে দেখা যায় না। 
কুইন্সে আরেকজন ব্যবসায়ী আছে,  যার একসময় প্রধান পেশা ছিল ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি ও মর্গেজ প্রতারণা। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে গড়ে তুলেছেন ব্যবসার সাম্রাজ্য। জালিয়াতির দায়ে অর্থ আত্মসাতের দায়ে এই প্রতিষ্ঠিত প্রতারক ব্যবসায়ীর লম্বা সময়ে কারাদণ্ড হয়েছে। এখন অর্থদণ্ড দিয়ে পালাক্রমে সাজা খাটছেন। এ কারণে ওই প্রতারক ব্যবসায়ীকে হঠাৎ দেখা যায় না কমিউনিটিতে। বছরে তিন মাস তাকে জেলে থাকতে হয় বলে জানা গেছে। ওই সময় সে আমেরিকার বাইরে সফরে ছিল বলে প্রচার করে থাকে। কিন্তু তার এই ঘটনা ওপেন সিক্রেট।
বাংলাদেশি কমিউনিটিতে একজন মর্গেজ প্রতারক দীর্ঘদিন কারাগারে রয়েছে। তার সম্পত্তি, এমনকী নিজের বউও অন্য আরেকজন নিয়ে গেছে। কুইন্সের বিভিন্ন এলাকায় তার বাড়িতে চারজন কমিউনিটির লিডার বাস করছে, যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করছে। 

কমেন্ট বক্স