Thikana News
০১ নভেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫





 
কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকী

ইরানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ১০৩, আহত ১৭১

ইরানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ১০৩, আহত ১৭১ ছবি সংগৃহীত





 
মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০০ ছাড়িয়েছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সংবাদমাধ্যমটি জোড়া বিস্ফোরণে ৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছিল।

তবে ইরানের মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১৭১ জন। হতাহতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কেরমানে কাসেম সোলাইমানির কবরের পাশে মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তায় পুঁতে রাখা দুটি ডিভাইস সন্ত্রাসীরা দূর থেকে বিস্ফোরিত করেছে।

ইরানের জরুরি বিভাগের মুখপাত্র প্রথমে এ ঘটনায় ৭৩ জন নিহত ও ১৭০ জন আহত হওয়ার কথা জানালেও পরে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর বিদেশি অভিযানের দায়িত্ব আল-কুদস ফোর্সের। কাসেম সোলাইমানি ছিলেন এই বাহিনীর প্রধান। তাকে অনেকে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির ডানহাত ও ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে জানতেন।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেট করা ড্রোন হামলায় নিহত হন কাসেম সোলায়মানি। সে সময় তার সঙ্গে ফোর্সের আরও কয়েকজন সামরিক সদস্য নিহত হয়।

চার বছর আগে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানির সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১০৩ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দেড় শতাধিক মানুষ। বুধবার ইরানের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত উত্তেজনার মধ্যে এমন একটি ঘটনা ঘটল। তবে এই হামলার পেছনে কে থাকতে পারে তা স্পষ্ট করে না বললেও ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই বিস্ফোরণকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে অভিহিত করেছেন।

এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন হতাহতের পরিসংখ্যানের জন্য দেশটির জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারস্তকে উদ্ধৃত করেছে।

বিপ্লবী গার্ডের অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে কেরমানে অবস্থিত তার সমাধির কাছেই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।

সোলেইমানিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পরই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হতো।

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বিদেশি অপারেশন শাখা কুদস ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে তিনি সমগ্র অঞ্চলে ইরানি নীতির একজন স্থপতি ছিলেন।

সোলেইমানি কুদস ফোর্সের গোপন মিশন এবং হামাস, হিজবুল্লাহসহ তাদের মিত্র সরকার ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বিভিন্ন নির্দেশনা, তহবিল, অস্ত্র, গোয়েন্দা তথ্য এবং লজিস্টিক সহায়তা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন বলে মনে করা হয়।

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের জানুয়ারি সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি সোলেইমানিকে ‘বিশ্বের যেকোনো স্থানে ১ নম্বর সন্ত্রাসী’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ইরিব বলেছে, সোলেইমানির সমাধি-সংলগ্ন সাহেব আল জামান মসজিদের পাশে অন্তত দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। আজ সকাল থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ সমাধির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময়ই বিস্ফোরণগুলো ঘটে। কেরমানের ডেপুটি গভর্নর এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার ওপর বেশ কিছু মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স