রহমান আতাউর
আজি এই বিদায়ী মাধবী রাতে,
শিশিরসিক্ত পৌষ প্রভাতে।
নববর্ষে অভিবাদন তোমায়,
সময়ের অভ্রংলিহ স্রোতে।
নবতর বছর নোঙর ফেলেছে,
নব সূর্য করোজ্জ্বল অর্ণবপোতে।
গোলাপ কুসুম ঝরুক পড়ে
পতনোন্মুখ জীর্ণ পুরাতন বোঁটা।
নার্গিসফুলী আঁখিতে দিলেম তোমায়
শিশিরসিক্ত একটি ফোঁটা।
আকাশে ভাসে বিদায়ী পৌষের
শঙ্খসাদা শুভ্র অভ্ররাশি,
আজ নব উন্মাদনার নব হাসি
বাজাব নতুন করে সুম্বন বাঁশি।
এই নববর্ষে নতুন অতিথি হয়ে
কম্পিত হরষে এসেছি আবার।
খোলো খোলো আজি, নববর্ষের দখিন দুয়ার।
নিয়ে এসো নব নব মধুর গীতি,
অশ্রুশিশিরে মিলাক পুরোনো স্মৃতি।
মহাশূনে্য উড়ায়ে আসুক,
শান্তিসুধা নির্বাণহীন অগ্নিমন্থন
পূর্ণ চাঁদের পুণ্য তিথি।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে ঘুচে যাক হানাহানি,
তীক্ষè অসির ঝনঝনানি।
আকাশ করে কানাকানি,
নববর্ষে নতুন সুর দাও আনি।
আকাশে উড়ুক শ্বেত কপোত,
মহা অনির্বাণ শান্তির বাণী।
ঊষার আলোর পারাবতে এসেছে নতুন ভোর,
নয়াদিগন্তে উদ্বেলিত নতুন প্রভাকর।
কে যেন আজ, হৃৎপ্রাঙ্গণে মোর
কুসুমকাননে কুসুম কুড়ালো।
দেখেছি দেখেছি নয়নোপান্তে
নয়নোৎসবে নববর্ষের প্রথম আলো।
হৃৎপ্রাঙ্গণে তব বিদায়ের পালা
নীহার ভেজা পৌষ,
এসো হে, এসো হে সুস্বাগত নববর্ষ এক কুড়ি চব্বিশ।
জীর্ণ পুরাতন প্রাচীর পার হয়ে,
এসেছে নববর্ষ নবধারায়।
নববর্ষে নয়া ফুল দোলে,
হৃৎপল্লব ঝালর পাতায়।