নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান সাইফার মামলায় জামিন পেয়েছেন। এ ছাড়া জামিন পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন মামলায় শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) তাদের জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, জামিন পেলেও ইমরানকে মুক্তি দেওয়া হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ অন্য কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে। তার আইনজীবী সালমান সাফদারও এ নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন।
ইমরান ও কুরেশিকে ১০ লাখ রুপি জামানত দেওয়ার শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার পিটিআই পিটিশনের শুনানির পর বিচারপতি সরদার তারিক মাসুদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ যুগান্তকারী রায় দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ এবং সৈয়দ মনসুর আলী শাহ। বর্তমানে পিটিআই নেতা ইমরান ও কুরেশি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদে একটি গোপন তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই বার্তা প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করেছেন। যদিও তিনি এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। ইমরানের দাবি, ওই তারবার্তা গণমাধ্যমে এসেছিল অন্য সূত্র থেকে। গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান।
ফাঁস হওয়া কূটনৈতিক তারবার্তার কথা উল্লেখ করে তখন তিনি বলেছিলেন, যে বার্তা ফাঁসের জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, সেটিই প্রমাণ করছে যে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল। কারণ তিনি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আগে রাশিয়ায় সফর করেছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী উভয়ই ইমরানের এমন দাবি অস্বীকার করেছে।
ঠিকানা/এনআই


ঠিকানা অনলাইন


