ব্রিটেনের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থেই ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেভিড ক্যামেরন এ কথা বলেন। ক্যামেরন বলেন, ‘আমাদের ভাবতে হবে যে, এই সংঘাত শেষ হওয়ার পরে গাজায় কী ঘটবে এবং কীভাবে অঞ্চলটি স্থিতিশীল হবে? কীভাবে এই অঞ্চলটি নিরাপদ হতে যাচ্ছে? এটি কীভাবে শাসিত হবে?’ সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের ফলে গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা খুব বেশি।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীরা যেসব সহিংসতা চালাচ্ছে তা ইসরায়েলকে দমন করতে হবে।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করছে এবং মাঝে মাঝেই তাদের হত্যা করছে। এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং যারা এর জন্য দায়ী তাদের কেবল গ্রেপ্তার করাই যথেষ্ট নয়। তাদের গ্রেপ্তার করা, বিচার করা এবং কারারুদ্ধ করা দরকার। কারণ এগুলো স্পষ্টত অপরাধ।’
উল্লেখ্য, ডেভিড ক্যামেরন বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন। তিনি ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে সফর করবেন। সেখানে তিনি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় পক্ষের নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। এর আগে, চলতি মাসের মাঝামাঝি ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। সে সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তাঁর মন্ত্রিসভার দুই গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভাগের নেতৃত্বে রদবদল করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলিকে। আর ফাঁকা হওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই ক্যামেরন বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্য সংকটসহ ভয়ংকর নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা। বিশ্বজুড়ে এই পরিবর্তনের সময়ে মিত্রদের পাশে থাকা, অংশীদারত্ব শক্তিশালী করা এবং আমাদের মতামতগুলো সবার কাছে পৌঁছানো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
ঠিকানা/এম


ঠিকানা অনলাইন


