উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে কোরীয় উপসাগরে পারমাণিক ডুবোজাহাজ মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় ২৬ এপ্রিল (বুধবার) হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাইডেন। খবর আল জাজিরার।
ওয়াশিংটন-সিউল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তিতে বুধবার, দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছান দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউসে পৌঁছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন তিনি।
বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়াকে রুখতে কোরীয় উপসাগরে মার্কিন পারমাণিক ডুবোজাহাজ মোতায়েনের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে দুদেশের মধ্যে একটি চুক্তি সইয়ের কথাও জানান তিনি। পাশাপাশি পিয়ংইয়ংয়ের যেকোন হুমকি মোকাবিলায় কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশের সামরিক সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত আর তা পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল। আমরা এই সহযোগিতাকে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছি। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলার হুমকি মোকাবিলা। যা আমাদের দুদেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে রাতারাতি শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আর এ কারণেই আমরা উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় সামরিক সহযোগিতা ও সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে করে আমাদের শক্তি দিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করে এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
এছাড়া ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় দুদেশ এক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি তাইওয়ান প্রণালি তথা দক্ষিণ চীন সাগরে নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিতে যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দেন দুই নেতা।
তবে, কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক ডুবোজাহাজ মোতায়েনের ঘোষণা দিলেও, উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
ঠিকানা/এসআর