সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার নতুন অভিযোগ উঠেছে। দেশটির এক নারী প্রাবন্ধিক তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন। যদিও ট্রাম্প ও তার আইনজীবী এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগকারী নারী প্রাবন্ধিকের নাম ই জিন ক্যারল। তার অভিযোগ, ৯০ এর দশকে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর তাকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে উপহাসও করেছিলেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ করেন বিশিষ্ট ওই লেখিকা। তবে ট্রাম্পের এক আইনজীবী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, ক্যারল অর্থ ও খ্যাতি লাভের জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন।
৭৯ বছর বয়সি ক্যারল দাবি করেছেন, নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি ম্যানহাটনের ফিফথ অ্যাভিনিউতে একটি বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে তাকে যৌন নির্যাতন করেন ট্রাম্প। ওই সময় ট্রাম্প নারীদের অন্তর্বাস উপহার দেওয়ার বিষয়ে তার পরামর্শ চাওয়ার নাম করে ক্যারলকে ডেকে নেন। পরে একটি ট্রায়াল রুমে (পোশাক পরিবর্তন করার কক্ষ) ডেকে নিয়ে যান এবং সেখানেই তাকে ধর্ষণ করেন।
ম্যানহাটন আদালতকে ক্যারলের আইনজীবী শন ক্রাউলি বলেছেন, ট্রায়াল রুমে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর ক্যারলের সঙ্গে জোরজবস্তি শুরু করেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে শক্তিতে কুলিয়ে উঠতে পারেননি ক্যারল।
মঙ্গলবার ক্যারল নিজেও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই বিষয়ে সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্কের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ক্যারল।
ওই সময় বিষয়টি সামনে আসলে ট্রাম্প দাবি করেন, ক্যারল মিথ্যা কথা বলছেন। এমনকি ক্যারলের সঙ্গে তার কখনও দেখাই হয়নি। এর পরই ২০১৯ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন ওই লেখিকা। কিন্তু সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় ধর্ষণের মামলা রুজু করতে পারেননি। তবে গত বছরের নভেম্বরে নিউ ইয়র্কে একটি নতুন আইন কার্যকর হওয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ক্যারল।
ঠিকানা/এসআর