Thikana News
২৮ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫


বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে হত্যা

বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে হত্যা ছবি সংগৃহীত



 
অস্ট্রেলিয়ার এক নারীর বিরুদ্ধে তিনজনকে বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালত বলছেন, অভিযুক্ত নারী তার সাবেক সঙ্গীকেও মাশরুম খাইয়ে চারবার হত্যার চেষ্টা করেছেন।

গত ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ইরিন প্যাটারসনের (৪৯) বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা ও পাঁচটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ার অঙ্গরাজ্য ভিক্টোরিয়ার লিওনগাথা শহরে এক পারিবারিক মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন প্যাটারসন। হত্যাকাণ্ডগুলো ওই ভোজের সময়ই ঘটেছে। তবে প্যাটারসন এখনো নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন।

গত শুক্রবার প্যাটারসনকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আদালতে হাজির করা হয়। তবে পুলিশি তল্লাশিতে তার বাড়ি থেকে জব্দ করা কম্পিউটার সরঞ্জাম বিশ্লেষণের জন্য কৌঁসুলিদের সময় দিতে মামলাটি ৩ মে পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। ইরিন প্যাটারসন জামিনের জন্যও আবেদন করেননি।

গত শুক্রবার আদালতের নথিতে বলা হয়, পুলিশের অভিযোগ, প্যাটারসন তার স্বামী সায়মন প্যাটারসনকে ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনবার হত্যার চেষ্টা করেছেন। সায়মন ও ইরিন বেশ কিছুদিন ধরেই আলাদা থাকছেন।

চতুর্থ চেষ্টার সময় তিনি তার স্বামী সায়মন প্যাটারসন, স্বামীর মা-বাবা গেইল ও ডন প্যাটারসন এবং চাচিশাশুড়ি হিদার উইলকিনসনকে নিমন্ত্রণ করেন। তবে স্বামী সায়মন প্যাটারসন সে নিমন্ত্রণে যাননি।

ইরিন প্যাটারসন বলেন, তিনি সুপার মার্কেট থেকে আনা বাটন মাশরুম ব্যবহার করে রান্নার পদ তৈরি করেছিলেন। এ ছাড়া তিনি বেশ কয়েক মাস আগে এশীয় এক দোকান থেকে শুকনো মাশরুম কিনেছিলেন।

পুলিশ বলছে, চারজন অতিথিকেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। কয়েক দিনের মধ্যে ইরিন প্যাটারসনের সত্তরোর্ধ্ব শ্বশুর-শাশুড়ি ও হিদার উইলকিনসনের (৬৬) মৃত্যু হয়। হিদারের স্বামীর (৬৮) অবস্থা গুরুতর হলেও পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। 

তারা চারজনই বিষাক্ত ডেথ ক্যাপ মাশরুম খেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খাবার খাওয়ার পর দুই সন্তানসহ ইরিন প্যাটারসন অক্ষত থাকার কারণে তাকে সন্দেহ করে পুলিশ।

তবে ইরিন বলছেন, অতিথিদের বিষ প্রয়োগে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না তার। এমনকি তার দাবি, খাওয়াদাওয়ার পর তাকেও হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল এবং তার যকৃৎ রক্ষার জন্য ওষুধ দেওয়া হয়।

গত আগস্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি লেখেন, ‘আমি এ ভেবেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি যে মাশরুমগুলো আমার প্রিয়জনদের অসুস্থতার কারণ হয়ে থাকতে পারে।’

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স