সিরাজগঞ্জ জেলা ড্যাবের সদস্য সচিব ডাঃ আতিকুল আলম ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৩৩ তম ব্যাচের সাবেক ছাত্র জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক ডাঃ এম এ আজিজকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, চারদিকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যখন জনতার প্রতিবাদ তুঙ্গে, ফ্যাসিবাদের মসনদ যখন নড়বড়ে ঠিক তখনই হিংস্রতার এক ভয়ংকর রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে এই অবৈধ সরকার ও তার কুশীলবরা। রাজপথে নৃশংসতার পাশাপাশি পোষ্য নব্য রক্ষীবাহিনী দিয়ে বিরোধীমতকে নজিরবিহীন দমনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে তারা। তারই ফলশ্রুতিতে মহান পেশার চিকিৎসকদের কর্মস্থল ও বাসা থেকে তুলে নেয়ার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ও সিরাজগঞ্জ জেলা ড্যাবের সদস্য সচিব ডাঃ আতিকুল আলমকে সিরাজগঞ্জ, কাজীপুরে তার নিজ বাসা থেকে এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৩৩ তম ব্যাচের সাবেক ছাত্র জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক ডাঃ এম এ আজিজকে মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে তার পেশাগত চেম্বার থেকে বিনা অভিযোগ ও ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে গায়েবি মামলার আসামি করেছে পুলিশ। অতীতেও বিভিন্ন সময় স্বৈরাচারী সরকারগুলো চিকিৎসার ন্যায় মহৎ পেশার উপর নির্যাতন করেছে যার ফলাফল কোনোদিন ভালো হয়নি। ৯০ -এর গণআন্দোলন বেগবান হয়েছিলো শহীদ ডাঃ মিলনের আত্মাহুতি দেয়ার মাধ্যমে। সুতরাং এরকম গেস্টাপো বাহিনী দিয়ে নিপীড়ন এই সরকারের পতন আরো বেগবান করবে। অতীতেও এই সরকার ও তার কুশীলবরা বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসকদের উপর নানা রকম নির্যাতন করে আসছে এমনকি লক্ষ্মীপুরে শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় ডাক্তার ফয়েজ আহমেদকে মাথায় গুলি করে হত্যার মত ঘটনা ঘটেছে ২০১৩ সালে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় দুজন চিকিৎসককে নির্যাতন ও গ্রেফতারের জন্য চরম উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম।
একই সাথে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও তাদের নামে কোনো ধরনের মিথ্যা মামলা না দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
তুবা এরকম হয়রানি ও নির্যাতন যদি এই মহান পেশার উপর চলমান তবে দেশের সকল চিকিৎসক জনগণকে সাথে নিয়ে চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে শোককে শক্তিতে পরিণত করবে।
ঠিকানা/এসআর