গাজায় ২৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ভোরেও ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত ছিল। সর্বশেষ খবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ১১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ১৮তম দিনে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ হাজার ১৯৭-এ। নিহতের মধ্যে শিশু ২ হাজারের বেশি। নারী ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। অর্থাৎ নিহত ফিলিস্তিনির মধ্যে শিশু, নারী ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত দৈনিক গড়ে প্রায় ১৮টি শিশু নিহত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ১৫ মিনিটে একটি শিশু নিহত হচ্ছে গাজা উপত্যকায়। ১৮ দিনে গাজায় ১০ লাখের বেশি মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক রকেট হামলা চালায় হামাস। একই সঙ্গে দক্ষিণ ইসরায়েলের সাতটি গ্রাম ও শহরে হত্যাযজ্ঞ চালায় হামাসের যোদ্ধারা।
হামাস মূলত প্রথম দুই দিন হামলা বা হত্যাযজ্ঞ চালাতে সক্ষম হয়। ওই দুই দিনে ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়। জবাবে গাজায় বৃষ্টির মতো বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় স্থল অভিযান শুরুর জন্য সীমান্তে সব প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করছে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ইসরায়েলি সেনা। শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র চায় সব জিম্মিকে মুক্ত করার পরই ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান শুরু করুক। তবে ইতোমধ্যে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। সোমবার রাতেও গাজার কয়েকটি পয়েন্টে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলের ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান। হতাহতের বিষয়ে এখনও জানা যায়নি। সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি, গার্ডিয়ান
ঠিকানা/এম


ঠিকানা অনলাইন


