ইসরায়েলের হামলায় গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ২৬৬ জন। এর মধ্যে জাতিসংঘের এক কর্মী ও একজন সাংবাদিক রয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন কয়েক শ ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডা. আশরাফ আল কুদরার বরাত দিয়ে ২২ অক্টোবর রোববার রাত ১১টার দিকে সর্বশেষ খবরে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা। গাজার উত্তরাঞ্চলে বেশির ভাগ প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ১১৭ জনই শিশু।
দেইর আল-বালাহ এলাকায় আল-আকসা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কাফন মোড়ানো লাশ সারি করে রাখতে দেখা গেছে। সেখানে নিহতদের স্বজন ও আত্মীয়রা জড়ো হয়েছেন।
গাজায় অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ রোববার জানিয়েছে, ইসরায়েলের বোমায় ২২ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের ২৯ জন কর্মী নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
মিসরের সামরিক বাহিনীর এক সদস্য ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েল ও মিসর উভয় পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া একটি বোমা মিসরের সামরিক বাহিনীর অবস্থানে গিয়ে পড়েছে।
এদিকে ইরানের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধ না হলে এই অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে। তবে এই হুঁশিয়ারির পাল্টা সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একদল মার্কিন সিনেটর ইসরায়েল সফর করছেন। রোববার তারা তেল আবিবে মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘আমরা আজ এখানে এসেছি ইরানকে এই বার্তা দিতে যে আমরা তোমাদের ওপর নজর রাখছি। যদি এই যুদ্ধ বাড়ে, তাহলে তা তোমাদের আঙিনায় পৌঁছে যাবে। তখন দুটি ফ্রন্টে যুদ্ধ হবে না, হবে তিনটি ফ্রন্টে।’ সূত্র : আল-জাজিরা
ঠিকানা/এনআই


ঠিকানা অনলাইন


