মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় ঢুকেছে ত্রাণবাহী ২০ ট্রাক। খাবার, পানি ও ওষুধ ছাড়াও এসব ট্রাকের একটিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কফিনও। কিন্তু গাজার বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য মাত্র এই ২০ ট্রাক ত্রাণ সাহায্যকে ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।
হামাস জানিয়েছে ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও খাবার নিয়ে ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করেছে। তবে অবরুদ্ধ কয়েক লাখ ফিলিস্তিনির জন্য এই ত্রাণ খুবই সামান্য বলছে জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজা সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ করে রাখে ইসরায়েল। এতে গাজায় তৈরি হয় ব্যাপক মানবিক সংকট। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয় মিসর।
শুরুতে শুক্রবার ত্রাণ প্রবেশের কথা থাকলেও তা এক দিন পিছিয়ে যায়। দুই সপ্তাহ সীমান্তে আটকে থাকার পর শনিবার রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করে ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক। এর মধ্যে একটিতে কফিন এবং বাকিগুলোতে রয়েছে খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। তবে পূর্ব শর্তমতে নেই কোনো জ্বালানি। এরপর আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয় রাফা সীমান্ত।
গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও এই সহায়তা খুবই সামান্য বলছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে এটিই গাজাবাসীকে দেওয়া শেষ সহায়তা নয় বলেও মন্তব্য করেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
গাজায় পৌঁছানো এসব ত্রাণ দিয়ে মাত্র কয়েক হাজার মানুষের চিকিৎসেবা দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ ছাড়া সাধারণ চিকিৎসার জন্য যে ওষুধ পাঠানো হয়েছে, তাতে গাজার তিন লাখ মানুষকে অন্তত তিন মাস চিকিৎসা দেওয়া যাবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
মিসর এবং গাজা ভূখণ্ডের মধ্যে একমাত্র সীমান্ত পারাপার পয়েন্ট রাফা ক্রসিং। গাজা থেকে বের হওয়ার আরও দুটি সীমান্তপথ থাকলেও সেগুলো ইসরায়েলের ইচ্ছে অনুযায়ী বন্ধ বা খোলা থাকে।
গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের আরোপ করা অবরোধের মধ্যে শনিবার প্রথম সাহায্য পৌঁছেছে।
এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় ৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ইসরায়েল গাজায় বিদ্যুতের পাশাপাশি খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে। জাতিসংঘ সেখানকার পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর আখ্যা দিয়েছে।
ঠিকানা/এনআই


ঠিকানা অনলাইন


