Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

দেড় মাস পর ভেসে উঠল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

দেড় মাস পর ভেসে উঠল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু ছবি সংগৃহীত
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ার ফলে ডুবে যাওয়া ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত পর্যটন ঝুলন্ত সেতু দীর্ঘ ১ মাস ১৮ দিন পর ভেসে উঠেছে। এতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুতে পূর্বের দেওয়া পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

পর্যটকেরা ঝুলন্ত সেতুতে প্রবেশ করে সেতুটি আগের মতো দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। অন্যদিকে পর্যটন করপোরেশনের আশা, পানি কমে যাওয়ায় ঝুলন্ত সেতুটি আবারও ভেসে ওঠায় ভালো ব্যবসা করতে পারবে পর্যটন করপোরেশন।

দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হ্রদ, পাহাড় ও ঝর্নার মিলনমেলার জেলা রাঙামাটি। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর এই জেলায় দেশি-বিদেশি কয়েক লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। রাঙামাটিতে আগত পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতু।

পাহাড়ের দুই দ্বীপ ও প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে আশির দশকে তৈরি করা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটিতে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ার ফলে ডুবে যায় ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত ঝুলন্ত সেতু। সেতু ডুবে যাওয়ায় আগত দর্শনার্থীরা মন খারাপ করে চলে যান।

গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঝুলন্ত সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত শুক্রবার ১ মাস ১৮ দিন হ্রদের পানিতে ডুবে থাকার পর আবারও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এই ঝুলন্ত সেতু।

পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার রমজান আলী জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবছরই সেতুটি হ্রদের পানিতে ডুবে যায়। এতে ঝুলন্ত ব্রিজ পারাপারের টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে। আর পর্যটক না আসার কারণে পর্যটকবাহী বোটগুলোর চালকদের ঘাটে বসে দিন অতিবাহিত করতে হয়েছে দেড় মাসের অধিক সময় ধরে। এতে বোট চালকেরা অতি কষ্টে দিন অতিবাহিত করেছেন। তবে সেতুটি ডুবে থাকার কারণে ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা এবার শীত মৌসুমে পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তারা।

ঝুলন্ত ব্রিজ টিকিট কাউন্টারের কর্মী মো. সোহেল জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় ঝুলন্ত সেতুটি হ্রদের পানিতে ডুবে যায়। এতে ঝুলন্ত ব্রিজ পারাপারের টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঝুলন্ত সেতুটি আবারও ভেসে ওঠায় পর্যটন কর্তৃপক্ষ পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় টিকিট বিক্রি আবারও শুরু করা হয়েছে।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা জানান, হ্রদের সর্বোচ্চ পানির স্তর ১০৯ ফুট থাকলেও হ্রদে ১০৫ ফুট পানি হলেই পর্যটন এই ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। এ বছরও হ্রদে পানি বাড়ায় ৩ সেপ্টেম্বর ডুবে যায় সেতুটি। হ্রদের পানি কমায় ১ মাস ১৮ দিন ডুবে থাকার পর আবারও ভেসে উঠেছে ঝুলন্ত সেতুটি।

আর সেতুটি আবারও ভেসে ওঠায় সেতুটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, রং করাসহ প্রাথমিক মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সেতুতে পর্যটক প্রবেশে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

তবে ঝুলন্ত ব্রিজটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান করা হয়নি। তাই এই ঝুলন্ত ব্রিজটি প্রতিবছর যাতে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে না যায়, এর জন্য নতুন করে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন পর্যটকপ্রেমীরা। আর শীত মৌসুমে পর্যটকদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠবে রাঙামাটি, তেমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স