দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত চিকিৎসকরা। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়াসহ ফুসফুসে পানি জমায় ১৪ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে আবারও তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ফুসফুস থেকে পানি অপসারণের পর রাত ১১টার দিকে আবারও কেবিনে নেওয়া হয়। এ নিয়ে তাকে গত এক মাসে পাঁচবার সিসিইউতে নেওয়া হয়।
মেডিক্যাল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা শঙ্কিত। তার শরীরের অন্যান্য প্যারামিটারও ওঠানামা করছে। এটা হয়তো খুব বেশিদিন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। এ জন্য চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন তিনি। এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে তার লিভারের সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। তবে লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া স্থায়ী কোনো সমাধান নেই। খালেদা জিয়ার শুধু লিভারসিরোসিস জটিলতাই নয়, কিডনি আর ডায়াবেটিক অবস্থাও খারাপের দিকে। ফলে একটি কমাতে গেলে আরেকটিতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
ঠিকানা/এম