প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধেও স্বাগতিকদের চোখে চোখ রেখে চলছিল লড়াই। ব্যবধানে হেরফের হচ্ছিল না। ৮৭ মিনিটে মালদ্বীপের এক গোলে সব হিসাব পাল্টে যায়। পরাজয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। তবে শেষ মুহূর্তে সাদউদ্দীনের থ্রিলারে হার এড়ায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম লেগে ১-১ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাবরেরার শিষ্যরা। একই সঙ্গে ১ পয়েন্ট অর্জন করে বাংলাদেশ।
১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মালের মাঠে তিন পরিবর্তনে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। শেখ মোরসালিনের পরিবর্তে ফরোয়ার্ডের দায়িত্ব দেন ফাহিম আহমেদকে। রক্ষণে তপু বর্মণের রিপ্লেসমেন্ট দেন শাকিল হোসেন এবং পোস্টের নিচে মিতুল মারমার ওপর ভরসা রাখেন। হাইভোল্টেজ ম্যাচটিতে শুরু থেকেই ফাহিম রাকিবরা মালদ্বীপ রক্ষণের পরীক্ষা নিয়েছেন বারবার। নিজেরাও পরীক্ষায় পড়েছেন। বলা যেতে পারে, শুরুতে আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদের। বাংলাদেশ ছিল কিছুটা অগোছালো। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলেছে দুদল। প্রথম সুযোগটা তৈরি করে স্বাগতিকরাই। ১৮ মিনিটে বক্সে ঢুকে আলী ফাসিরের শট সাইডবারে লেগে ফিরে এলে এগিয়ে যেতে পারেনি স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ সুযোগ পায় ২৬ মিনিটে। বক্সে ঢুকে রাকিব হোসেনের বাঁ পায়ের জোরালো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দুই মিনিট পর স্বাগতিকদের মোহাম্মদ নাইমের হেড দূরের পোস্ট দিয়ে গেছে। ৩৫ মিনিটে রাকিব হতাশ করেছেন। ৪০ মিনিটে ফাহিমও গোলের দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন।
বিরতির পর খেলা আরও জমে ওঠে। ৫৩ মিনিটে সতীর্থের লং পাস থেকে রাকিব বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শট নিলেও তা অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে বল গড়ায়। ৪ মিনিট পর রাকিবের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করেও জাল কাঁপাতে পারেননি ফাহিম। তার বাঁ পায়ের জোরালো শট সাইডের জাল কাঁপিয়েছে!
৭০ মিনিটে রাকিবের ক্রসে ফাহিম দৌড়ে এসে ৬ গজ দূরত্বে থেকে বল উঁচিয়ে মেরে গোলের দারুণ সুযোগ নষ্ট করেছেন। এর পরই ফাহিম ও জামালের জায়গায় নামেন জনি ও রবিউল মাঠে।
গোলশূন্য ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৮৭ মিনিটে ডেড লক ভাঙে মালদ্বীপ। সতীর্থের ক্রস তারিক কাজী হেড দিয়ে ক্লিয়ার করলেও তা স্বদেশি ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফাঁকায় থাকা বদলি হাসান নাইমের কাছে গেলে দারুণ প্লেসিংয়ে তিনি স্কোর ১-০ করেন।
এর পরই মাঠে নামেন সাদ উদ্দিন। যোগ করা সময়ে তিনি বাংলাদেশকে লজ্জা থেকে বাঁচান। রাকিবের ক্রসে পা ছুঁয়ে মালদ্বীপের জালে পাঠান তিনি।
ঠিকানা/এনআই