জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন এনওয়াই’র (জেবিবিএ) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন এবং আজিমুশ্বান ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলে বক্তারা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) জীবনের আলোকে নিজেদের গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তারা বলেন, মহানবীর (সা.) আদর্শ মেনে চললে সমগ্র মানবজাতি যেমন ভালো থাকবে, তেমনি পৃথিবীও সুন্দর হবে।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে দেশ-বিদেশ ও প্রবাসের বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলারগণ বক্তব্য দেন।
মাহফিলে বক্তারা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, আর মুহাম্মদ (সা.) শান্তির দূত। পৃথিবীর অশান্তি দূর করতে হলে মহানবীর জীবনাদর্শ এবং নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
নিউইয়র্কের উডসাইড আহলে বায়ত মিশন মসজিদের খতিব ও ইমাম এবং ইন্টারন্যাশনাল ইমাম কাউন্সিল, নর্থ আমেরিকার আহ্বায়ক মুফতী ড. সাঈয়্যেদ মুতাওয়াক্কিল রব্বানী-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি ড. আল্লামা কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী। গেস্ট অব অনার ছিলেন ক্বারি শায়খ আহমাদ বিন ইউসূফ আল আজহারী। প্রধান বক্তা ছিলেন ব্রুকলিনের বেলাল মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি সৈয়দ আনসারুল করিম আজহারী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মূলধারার রাজনীতিক অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ এমদাদুল হক, মোহাম্মদী সেন্টারের পরিচালক ইমাম কাজী কাইয়্যুম, আমেরিকায় মদিনার আলো’র সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াহিদ টুপন ও রাজনীতিক মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান।
যৌথভাবে মাহফিল পরিচালনা করেন জেবিবিএ’র সভাপতি গিয়াস আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান। মাহফিলে অতিথিবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- জার্মানির বার্লিনের বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমাম ও খতিব আলহাজ মাওলানা হেলাল উদ্দিন সিরাজী, নিউইয়র্কের পার্কচেস্টার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের রশিদ, জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতিব আলহাজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাদিক, এস্টোরিয়ার আল আমিন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
মাহফিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কারী মুহাম্মদ হাসান বিন খুরশীদ ও হাফেজ মুহাম্মদ টিপু রাহমান।
মাহফিল সফল করতে আসেফ বারী টুটুলকে আহ্বায়ক ও মোল্লা মাসুদকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা ছিলো।