প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বলেন, ‘আমি তা মনে করি না...।’
গত ১০ এপ্রিল ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সেহেলি সাবরিন বলেন, ‘আমরা একটি খুব ভালো বৈঠক করেছি এবং আমাদের আলোচ্যসূটিতে থাকা সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘দেশটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, কিন্তু তারা দুর্নীতির অভিযোগে দণ্ডিত ব্যক্তিদের পক্ষে কথা বলে আসছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘তারা গণতন্ত্রকে বাতিল করে এমন একটি সরকার এখানে আনতে চায়, যার কোনো গণতান্ত্রিক অস্তিত্ব থাকবে না, (এর মানে) অগণতান্ত্রিক প্রবণতা। কিছু স্থানীয় বুদ্ধিজীবী তাদের বুদ্ধি মেনে চলে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অনুরোধ বহুবার উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে।’
এর আগে ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের ন্যায্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদের বন্দুক নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদের জন্য টেনেসির দুই আফ্রিকান-আমেরিকান আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কারের সমালোচনা করেন।
সজীব ওয়াজেদ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘মার্কিন রাজ্যের আইনসভা দুই সংখ্যালঘু আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কার করার পক্ষে ভোট দিয়েছে, যেখানে তৃতীয় জনকে শ্বেতাঙ্গ রাখা হয়েছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের অবস্থা। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট একগুচ্ছ ভণ্ডদের আখড়া ছাড়া কিছুই নয়।’
ঠিকানা/এসআর