Thikana News
১৯ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪


 

‘ডি’ গ্রেড ক্যাটাগরিতে স্থান পেলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

‘ডি’ গ্রেড ক্যাটাগরিতে স্থান পেলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র‌্যাংকিংয়ে ‘ডি’ গ্রেডে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

২৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের তিন জন গভর্নর ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়েছেন। তারা হলেন- ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর টমাস জর্ডান ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নগুয়েন থি হোং।

এছাড়া শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল ভীরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’ ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমেদ পেয়েছেন ‘সি মাইনাস’। নেপালের মহাপ্রসাদ অধিকারী পেয়েছেন ‘বি মাইনাস’। এছাড়া, সিঙ্গাপুরের রবি মেনন ‘বি মাইনাস’ ও দক্ষিণ কোরিয়ার রি চাং-উং ‘এ মাইনাস’ গ্রেড পেয়েছেন।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেশি হলেও টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। তবে, ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে টাকার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। তখন আমদানিকারকরা ডলার ঘাটতির সঙ্গে লড়াই করেছেন। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্য ব্যয় বেড়েছে এবং মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা চাওয়া হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে ২০২২ সালের মূল্যস্ফীতি বহিঃ খাতগুলোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের প্রধান কাজ ছিল অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলা করতে হয়েছে। গ্লোবাল ফাইন্যান্স তাদের সাফল্যকে গ্রেড করেছে এবং আগামী বছর কী করণীয় তা নিয়ে কয়েকজন গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করেছে।

বিভিন্ন আর্থিক খাত থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে গ্লোবাল ফাইন্যান্স কর্তৃপক্ষ এই র‌্যাঙ্কিং করেছেন। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের ‘এ প্লাস’ থেকে ‘এফ’ স্কেলে গ্রেড করা হয়েছে। যার মধ্যে ‘এ প্লাস’ সর্বোচ্চ গ্রেড এবং ‘এফ’ সর্বনিম্ন।

বিগত বছরগুলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী,  ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের গ্রেড ছিল ‘সি’। ২০১৫ সালে তিনি ‘বি মাইনাস’ গ্রেডে উন্নীত হন। পরবর্তী গভর্নর ফজলে কবির ২০১৭ সালে ‘বি’ গ্রেড অর্জন করেন। তবে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তার গ্রেড ছিল নিম্নমুখী। ওই দু’বছর তিনি পান ‘ডি’ গ্রেড। ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য ফজলে কবিরকে ‘সি’ গ্রেড দেয় ম্যাগাজিনটি।

ঠিকানা/এসআর
 

কমেন্ট বক্স