যুক্তরাজ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ হতে পারে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নিজেই এ পদক্ষেপ নিতে পারেন। পরবর্তী প্রজন্মকে ধূমপান থেকে দূরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করার কথা বিবেচনা করছেন তিনি। ২৩ সেপ্টেম্বর রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের ঘোষিত আইনের অনুরূপ ধূমপানবিরোধী পদক্ষেপের দিকে নজর দিচ্ছেন ঋষি সুনাক। নিউজিল্যান্ডের সেই আইনের অধীনে ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পরে জন্ম নেওয়া সকলের কাছে তামাকজাতপণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের অধীনে এ আইন প্রণয়ন করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা ধূমপানমুক্ত দেশ হওয়ার যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে তা পূরণ করতে চাই। এজন্য আরও বেশি মানুষকে ধূমপান ত্যাগ করতে উৎসাহিত করতে চাই। আর এই কারণেই আমরা ইতোমধ্যে ধূমপানের হার কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।
পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের ১০ লাখ ধূমপায়ীকে নিরুৎসাহিত করতে বিশ্বে প্রথম ‘সোয়াপ টু স্টপ' স্কিমের মাধ্যমে বিনামূল্যে ভ্যাপ কিট দেওয়া হবে। এছাড়া গর্ভবতী নারীদের ধূমপান করা থেকে বিরত রাখতে দেওয়া হবে ভাউচার স্কিম। এছাড়া আরও নানা পদক্ষেপ রয়েছে বলে তিনি জানান। যুক্তরাজ্যে ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। আর বিবেচনাধীন এসব নীতিগুলো নির্বাচনের আগে সুনাকের দলের একটি নতুন ভোক্তা-কেন্দ্রিক উদ্যোগের অংশ। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাজ্যের সরকার ঘোষণা করে- খুচরা বিক্রেতারা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে বিনামূল্যে ই-সিগারেটের নমুনা দিলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের কাউন্সিলগুলো জুলাই মাসে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্য উভয় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে একক-ব্যবহারযোগ্য ভ্যাপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারেরর প্রতি আহ্বান জানায়। সূত্র : রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান
ঠিকানা/এম