সামনে জাতীয় নির্বাচন। এর আগেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা শুরু করছে দেশটি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানান। যার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ভিসানীতির বিষয় নতুন না। এটা নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু আছে বলে মনে করি না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে দলের ওপর কোনো চাপ পড়বে কি না - এমন প্রশ্নের জবাবে শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ওপর চাপ কেন পড়বে। কোনো চাপ নেই। কারণ আমাদের একটাই কথা আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমরা সেটাই করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এমন ভিসানীতি তারা যদি ২০১৪ ও ১৮ সালে দিত, তাহলে বিএনপি দেশজুড়ে জ্বালাও-পোড়াও করতে পারত না। করতে ভয় পেত। আওয়ামী লীগের এটা নিয়ে চিন্তার বা ভয়ের কিছু আছে বলে তো আমি মনে করি না।’
এ বিষয়ে দলটির আরেক নেতা বলেন, ‘আমরা চাপ অনুভব করব কেন? আর এখানে চাপ অনুভব করার কারণ নেই। তারা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ নীতিমালা প্রয়োগ করতে চায় বা করে... তাদের চাওয়া এবং আমাদের চাওয়ার মধ্যে তো কোনো পার্থক্য নেই।’
মার্কিন এই ভিসানীতির আওতায় পড়া ব্যক্তিরা মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। এই তালিকায় থাকতে পারেন বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বাংলাদেশের যে লক্ষ্য তাকে সমর্থন করতেই আজকের এই পদক্ষেপ।
এ ছাড়া যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এর আগে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।
ঠিকানা/এনআই