মাদারীপুরের শিবচরে সাবেক স্বামীর নিক্ষেপ করা এসিডে দগ্ধ সাদিয়া আক্তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
৯ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, চার বছর আগে শিবচর উপজেলার মাদবরচরের সিরাজ শিকদারের ছেলে স্পিডবোট চালক সুমন শিকদারের (২৬) সঙ্গে লিটু হাওলাদারের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের (২০) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক কন্ সন্তানের জন্মও হয়। পারিবারিক কলহে কিছুদিন আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সম্প্রতি সাদিয়ার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। এই খবরে সুমন খুব ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন নিয়ে গত ১৫ আগস্ট রাতে সাদিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার শরীরে এসিড ছুড়ে মারে। গুরুতর অবস্থায় সাদিয়াকে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এসিডে সাদিয়ার মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনার পরদিন সাদিয়ার বোন তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় সুমনসহ পাঁচজনের নামে এসিড অপরাধ দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে গা-ঢাকা দেন সাবেক স্বামী সুমন। ঘটনার ৯ দিনের মাথায় ২৪ আগস্ট তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরঘাট থেকে সুমনকে গ্রেফতার করেন মাদারীপুর জেলার গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
ঠিকানা/এনআই