করোনাকালীন স্টুডেন্ট লোনের ইন্টারেস্ট ধরা হয়নি এবং যারা আগে লোন নিয়েছিলেন সেই সঙ্গে নতুন করে লোন নিয়েছেন, তাদেরকে পেমেন্ট দিতে হয়নি এত দিন পর্যন্ত। এখন আর সেই সুযোগ নেই। ১ সেপ্টেম্বর থেকে লোনের ইন্টারেস্ট গণনা শুরু হয়েছে। এখন লোনের অর্থের ওপর ইন্টারেস্ট হচ্ছে। সেই হিসাবে অক্টোবর থেকে পেমেন্ট দিতে হবে। যার লোনের পরিমাণ যত, তাকে সেই পরিমাণ অর্থের ওপর হিসাব করেই কিস্তির অর্থ দিতে হবে। তবে লোনগ্রহীতাদের সবাইকে পেমেন্ট দিতে হবে এমন নয়, বরং যেসব পরিবারের ইনকাম কম, সেসব পরিবারের আয় এবং সংখ্যা, পরিবারের আকার, পরিবারের অন্য কেউ কলেজে আছে কি না বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেই পেমেন্টে কিস্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেভ পেমেন্ট প্ল্যানে এখনো যারা আবেদন করেননি, তারা আবেদন করতে পারবেন।
করোনাকালীন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর লোন মওকুফের বিষয়টি আদালতের আদেশে আটকে যাওয়ার কারণে লোন মওকুফ হচ্ছে না। ফেডারেল সরকার থেকে যারা শিক্ষাঋণ নিয়েছেন, তাদের পেমেন্ট শুরু করছে অক্টোবর থেকে। যাদের ইনকাম কম তারা লোনের কিস্তি না দিলেও তাদের ইনকাম যখন বাড়বে, তখন কিস্তির পরিমাণ নির্ধারিত হবে। প্রতিবছর রিসার্টিফিকেট হবে। কারও আয় যখনই বাড়বে, তখনই ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনকে সেই তথ্য জানাতে হবে। তারা তথ্য হালনাগাদ করবে। ইনকাম বাড়লে তাদের আয় বিবেচনা করেই তারা সব হিসাব-নিকাশ করবে। আর কারও যদি ইনকাম না বাড়ে অথবা কোনো পরিবর্তন না হয়, তবে তাকে প্রতিবছর রিসার্টিফিকেটেশন করতে হবে না। ট্যাক্স ফাইল করার পর সেখানকার তথ্য নিয়েই ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন সবকিছু আপডেট করবে। সেভ প্ল্যানে রেজিস্ট্রেশন করার সময় বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।
যাদের সেপ্টেম্বর থেকে কিস্তি শুরু হচ্ছে, তাদের ইন্টারেস্টসহ লোনের পেমেন্ট প্রতি মাসে দিতে হবে। যারা আয় অনুযায়ী লোনের পেমেন্ট মাসিক দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তারা এখন থেকে সেভ প্ল্যানের অধীনে দেবেন। সেভ পেমেন্ট প্ল্যানে বেশ কয়েকটি অপশন রয়েছে। যদি কেউ সেভ পেমেন্ট প্ল্যানে রেজিস্টার্ড না করেন, তাহলে তারা আপনা আপনি এই প্ল্যানের সুবিধা পাবেন না। তারা নিয়মিত পেমেন্ট দিয়ে যাবেন।
সেভ পেমেন্ট প্ল্যানের বিভিন্ন অপশনের মধ্যে যার জন্য যেটি সুবিধা, তিনি সেটি বেছে নেবেন। পেমেন্ট প্ল্যান বাছাই করার পর সেখানে নিবন্ধন করতে হবে। কেউ যদি আলাদা করে ট্যাক্স ফাইল না করেন, ম্যারিড ফাইলিং জয়েন্টলি করেন, সে ক্ষেত্রে তার স্পাউসের নাম দিতে হবে। তার নামে কোনো লোন আছে কি না, সেটিও চেক করা হবে। তার সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরও দিতে হবে। এটি অর্থের হিসাব ও কিস্তি হিসাব করার জন্য বিবেচনা করা হবে। সবকিছু দেওয়ার পর সাবমিট করলে ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন সেভ পেমেন্ট প্ল্যানের আবেদনটির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। আবেদন জমা দেওয়ার পর সেটির প্রক্রিয়া করতে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। আবেদন জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি ইমেইল পাবেন আবেদনকারী। দুই সপ্তাহ পর তারা ইমেইল পাঠাতে পারে লোনগ্রহীতাকে। সেই সঙ্গে লোন সার্ভিসার কোম্পানিও বিল পেমেন্টের ২১ দিন আগে নোটিশ পাঠাবে। ওই নোটিশের মাধ্যমে লোনগ্রহীতাকে জানানো হবে, তিনি কত ডলারের লোন ও ইন্টারেস্ট পেমেন্ট করবেন। জিরো ডলার হলেও জানানো হবে। এর মধ্যে তার মোট বিল কত, তা-ও জানানো হবে। এদিকে লোনের অ্যামাউন্ট পে করার জন্য লোনগ্রহীতাকে একটি ব্যাংক হিসাব নম্বর দিতে হবে। এই ব্যাংক হিসাব নম্বর থেকে সরাসরি প্রতি মাসের নির্ধারিত সময়ে অর্থ কেটে নেওয়া হবে।