Thikana News
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিটি হলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে এই মীর বাশার

সিটি হলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে এই মীর বাশার মীর বাশার


নিউইয়র্ক সিটি হলের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মীর বাশার। ডেমোক্র্যাটিক নেতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এরিক অ্যাডামস সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান সিটি হলের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে নিয়োগ পেলেন।
গত বছরের ১৫ জুলাই অ্যাডামস তার সিটি হল নেতৃত্বদানকারী দলে মীর বাশার, ক্রিস্টাল প্রাইস ও আলেকজান্দ্রা সিলভারকে নিয়োগ দেন। বাশার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন এবং সিটি হলের দৈনন্দিন অর্থ, বাজেট, চুক্তি এবং সাধারণ প্রশাসনে বাশারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি আর্থিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার সময় প্রক্রিয়াগুলোকে স্ট্রিমলাইন করা এবং দক্ষতা খোঁজার জন্যও দায়ী।

বর্তমান পদে দায়িত্ব গ্রহণের আগে বাশার ২০১৫ সালে বাজেট এবং আর্থিক পরিকল্পনার সিনিয়র ডিরেক্টর ছিলেন এবং সিটি হল এজেন্সি প্রধানদের তাদের দৃষ্টি ও লক্ষ্যপূরণের জন্য কৌশল তৈরি করতে সহায়তা করেছিলেন। নিউইয়র্ক সিটি সরকারে কাজ করার সময় বাশার ২৫ বছর ধরে একজন পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, বাজেট ও প্রকিউরমেন্ট পেশাদার হিসেবে এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের নেতৃত্ব দেন।
বাশার লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সরাসরি চিফ অব স্টাফ ফ্রাঙ্ক ক্যারোনের কাছে রিপোর্ট করেন।
প্রাইস ফেডারেল লেজিসলেটিভ অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন এবং প্রতিটি সিটিওয়াইড অ্যাজেন্সির জন্য ফেডারেল অগ্রাধিকারের অগ্রগতি দেখেন। সিলভার মেয়রের অফিস অব অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেন। তিনি সিটি হল ও অ্যানিমেল অ্যাডভোকেসি কমিউনিটির মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ এবং প্রাণী কল্যাণের জন্য একটি সুন্দর শহরের দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারে কাজ করেন।

মেয়র অ্যাডামস বলেন, ‘আমরা আমাদের শহরকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি। আমাদের এমন লোকদের প্রয়োজন, যারা নিউইয়র্কবাসীর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের স্বার্থকে সমর্থন ও রক্ষা করার জন্য লড়াই করবে। বাশার, প্রাইস ও সিলভারকে আমার দলের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করতে পেরে আমি গর্বিত।
চিফ অব স্টাফ ফ্রাঙ্ক ক্যারোন বলেন, ‘আমরা বাশার, প্রাইস ও সিলভারকে সিটি হলে স্বাগত জানাতে পেরে গর্বিত। এই টিমের সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করব আমাদের কাজের সর্বোত্তম প্রভাব থাকবে, যা নিউইয়র্কবাসীর চাহিদা প্রতিফলিত করবে।’
মীর বাশারের স্থায়ী নিবাস হবিগঞ্জ শহরে। প্রথমে নিউইয়র্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পাশাপাশি অড জব করেন। পাশাপাশি কলেজ অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রি করেন কুইন্স কলেজ থেকে। পরে লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এমপিএ সম্পন্ন করেন। ২৫ বছর আগে মেয়র জুলিয়ানির আমলে তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে সিটি হলে যোগ দেন। বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস তার কাজের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে তাকে পদোন্নতি দেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মীর বাশার বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে আরো উচ্চপদে দেখতে চান তিনি। তার বাবা আব্দুল লতিফ ওপি ওয়ান লটারির মাধ্যমে ১৯৯০ সালে আমেরিকায় পাড়ি জমান। মীর বাশারের সহধর্মিণী সেলিনা সুলতানা। বর্তমানে তারা ব্রঙ্কসের প্যালহাম এলাকার বাসিন্দা।


কমেন্ট বক্স