ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন দেশটির তেলেঙ্গানা রাজ্যের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
আজ ৩১ অক্টোবর (শুক্রবার) সকালে রাজভবনে সাবেক এই ক্রিকেটারকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জিষ্ণু দেব বর্মা। আজহারউদ্দিনের অন্তর্ভুক্তির ফলে রাজটিতে মন্ত্রিসভার দীর্ঘদিনের শূন্যতা পূরণ হলো এবং কংগ্রেস সরকার প্রথম মুসলিম জনপ্রতিনিধি পেল।
তবে তেলেঙ্গানার বিরোধী দল এই পদক্ষেপটিকে আগামী ১১ নভেম্বরের জুবেলি হিলস বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনকে লক্ষ্য করে একটি নির্বাচনি কৌশল হিসেবে দেখছে, কেননা আনুমানিক ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোটার রয়েছে।
এই নিয়োগের সময় নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তাকে চিঠি লিখে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। বিজেপির মুখপাত্ররা যুক্তি দিয়েছেন যে, একজন মন্ত্রীকে, বিশেষ করে যিনি সম্প্রতি একই আসন থেকে নির্বাচনের টিকিট চেয়েছিলেন, তাকে অন্তর্ভুক্ত করা ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার।
অন্যদিকে, রাজ্যটির শাসক দল কংগ্রেস এই পদক্ষেপকে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতির পূরণ বলে যুক্তি দিয়েছে। তেলেঙ্গানা কংগ্রেস প্রধান মহেশ গৌড় এ প্রসঙ্গে বলেন, কংগ্রেস দল সংখ্যালঘুদের জন্য মন্ত্রিসভায় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমরা কেবল দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকা একটি ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করছি।
আজহারউদ্দিন এখনও বিধানসভা বা পরিষদের কোনোটিরই সদস্য নন— যা একজন রাজ্য মন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রয়োজন। তাকে ইতোমধ্যেই রাজ্যপালের কোটায় আইন পরিষদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, কিন্তু রাজ্যপাল এখনো প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেননি। তাকে মন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে হলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের আইন পরিষদের সদস্য (এমএলসি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
এ বিষয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তেলেঙ্গানা কংগ্রেস প্রধান মহেশ গৌড় বলেন, তারাও রাজস্থানে একজন নির্বাচনি প্রার্থীকে মন্ত্রী করেছিল এবং তিনি শেষ পর্যন্ত তার কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
ঠিকানা/এএস



ঠিকানা অনলাইন


