যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আলোচিত নির্বাচন—নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে গত ২৫ অক্টোবর থেকে। প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে, ভোটে এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তিনি নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন প্রধান প্রার্থী—ডেমোক্র্যাট জোহরান মামদানি, রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়া এবং সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো (স্বতন্ত্র প্রার্থী)। বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামস প্রাথমিকভাবে প্রার্থী থাকলেও গত মাসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে কুওমোকে সমর্থন জানান। খবর আল জাজিরার।
৩২ বছর বয়সী মামদানি একজন ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট। তিনি বিনামূল্যে শিশুদের যত্ন, ফ্রি বাস সার্ভিস এবং ভাড়াবাড়িতে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ নিউইয়র্কবাসীর জন্য ভাড়া স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে তরুণ ও প্রগতিশীল ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
তবে মামদানির ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানকে আক্রমণ করে কুওমো তাকে ‘অপরিণত ও আর্থিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে অভিযুক্ত করেছেন। মামদানি প্রকাশ্যে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান গণহত্যার শামিল—যা জাতিসংঘের একটি তদন্ত, মানবাধিকার সংগঠন ও বহু বিশেষজ্ঞও সমর্থন করেছেন।
গত শুক্রবার ২৪ অক্টোবর আবেগঘন ভাষণে মামদানি বলেন, ‘আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে শুধু মুসলিম বলেই। এটি বর্ণবাদী, ভিত্তিহীন এবং অন্যায়।’
মামদানি আরও বলেন, ‘নিউইয়র্কে মুসলিম হয়ে থাকা মানেই অপমান সহ্য করা, কিন্তু সেই অপমানের সহনশীলতাই আমাদের আলাদা করে।’
২০২১ সালে যৌন হয়রানির অভিযোগে গভর্নরের পদ ছেড়ে দেন অ্যান্ড্রু কুওমো। এবার তিনি আবার নির্বাচনী ময়দানে নেমেছেন।
২০১৯ সাল থেকে নিউইয়র্কে আগাম ভোটের ব্যবস্থা চালু হয়েছে, যা এখন বেশ জনপ্রিয়। শহরের নির্বাচনী বোর্ডের তথ্যমতে, গত জুনের মেয়র প্রাইমারিতে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোটই আগাম ও সরাসরি কেন্দ্রে গিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ঠিকানা/এসআর


ঠিকানা অনলাইন


