Thikana News
২৭ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

প্রথম এল ক্ল্যাসিকোয় বার্সাকে হারিয়ে রিয়ালের প্রতিশোধ

প্রথম এল ক্ল্যাসিকোয় বার্সাকে হারিয়ে রিয়ালের প্রতিশোধ ছবি সংগৃহীত



 
এল ক্ল্যাসিকো বলে কথা! বিশ্বের অন্যতম দ্বৈরথে রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা থাকবে না তা কী করে হয়। কী ছিল না ম্যাচটিতে? গোল, অফসাইডে গোল বাতিল, ভিএআরে রেফারির সিদ্ধান্ত বদল, আবার ভিএআরেই পেনাল্টি পাওয়ার পর কিলিয়ান এমবাপ্পের স্পটকিক সেভ করলেন ভয়চেক সেজনি। শেষ দিকে পেদ্রির লাল কার্ডের সঙ্গে দেখা মিলল রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার শারীরিক ধাক্কাধাক্কিও। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাই সবটার দেখা মিলল।

এমন রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে রিয়াল। মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকোয় নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা। এতে প্রতিশোধও নেওয়া হলো লস ব্ল্যাংকোসদের। সর্বশেষ মৌসুমে ৪ দেখাতেই হেরেছিল রিয়াল।

ব্যবধানটা আরও বাড়তে পারত। বার্সার গোলবারের নিচে যদি ৯টা সেভ না দিতেন গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। এর মধ্যে বেশ কটি নিশ্চিত গোল পেতে পারত রিয়াল।

ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল। তবে ভিএআরে রেফারির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়। ১২তম মিনিটে আরেকবার হতাশ হতে হয় লস ব্ল্যাংকোসদের। বক্সের বাইরে থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত ভলির গোলটাও যে অফসাইডে বাতিল হয়ে যায়।

২২তম মিনিটে ঠিকই মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকোয় গোল আদায় করে নিলেন এমবাপ্পে। জুড বেলিংহামের দারুণ এক পাস বক্সের মধ্যে পেয়ে বার্সেলোনার গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনিকে পরাস্ত করেন। ফরাসি ফরোয়ার্ডের বল জালে জড়াতেই একসঙ্গে উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো গ্যালারি। 
২৯ মিনিটে আরেকটি গোলের প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের স্ট্রাইকার। এবার তার শট কর্নারের বিনিময়ে জালে জড়াতে দেননি সেজনি। সেই আক্রমণের রেশ শেষ হতে না হতেই গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন ডিন হুইসেন। কিন্তু এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান সেজনি। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার বাতাসে ভাসা পাসকে ডাইভ দিয়ে গোলবারে ঠেলে দিয়েছিলেন রিয়ালের ডিফেন্ডার। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বার্সাকে রক্ষা করেন সেজনি।

বার্সা গোল পাওয়ার মতো প্রথম সুযোগ পায় ৩৪ মিনিটে। বক্সের মধ্যে থেকে ফেরান তোরেস দুর্বল শট নেওয়ায় বল ধরতে অসুবিধা হয়নি রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার। তবে ৩৭ মিনিটে ঠিকই বার্সা সমতায় ফেরে। মার্কাস রাশফোর্ডের পাসে কাতালানদের সমতায় ফেরান ফেরমিন লোপেজ।

সমতায় ফেরার আগে বার্সেলোনাকে আরেকবার বাঁচান সেজনি। বক্স থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বাঁকানো শট যখন জালে পৌঁছাবে, ঠিক সেই মুহূর্তে বাঁদিকে লাফিয়ে প্রতিহত করেন বার্সার গোলরক্ষক। ৪৩ মিনিটে অবশ্য বার্সাকে আর বাঁচাতে পারলেন না তিনি। তার আসলে কোনো সুযোগই ছিল না। গোলবারের কাছে অরক্ষিত থাকা বেলিংহাম যে শুধু ট্যাপ করে বলকে জালে জড়ানোর অপেক্ষায় ছিলেন। ইংলিশ মিডফিল্ডারের গোলের পরপরই আরেকটি গোল করেছিলেন এমবাপ্পে। তবে সেই গোলটিও অফসাইডে বাতিল হলে ২-১ ব্যবধানে বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতি শেষেই সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। তবে লোপেজের শট সরাসরি কোর্তোয়ার হাতে চলে যায়। রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক সহজে বল তালুবন্দী করলেও কঠিন এক সেভ দেন বার্সার গোলরক্ষক সেজনি। ৫১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পান এমবাপ্পে। এরিক গার্সিয়ার হাতে বল লাগলে ভিএআরে পেনাল্টি পায় রিয়াল। এমবাপ্পে স্পটকিক নিলে তা সেভ করে দেন সেজনি।

৫৪ মিনিটে লোপেজের আরেক দুর্বল শট বার্সাকে সমতায় ফিরতে দেয়নি। ২০ গজ দূর থেকে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড যখন শটটি নিলেন, তখন তার সামনে শুধু গোলরক্ষক কোর্তোয়া। কিন্তু তিনি শটটি নিলেন রিয়ালের গোলরক্ষক বরাবর। বলটি ধরতে তাই অসুবিধাও হলো না কোর্তোয়ার।

৬৮ মিনিটে বেলিংহামের আরেকটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ৮৯ মিনিটে বার্সাকে সমতায় ফেরানোর সুবর্ণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন জুলেস কুন্দে। বক্সের মধ্যে এরিয়াল পাস দিয়েছিলেন লামিনে ইয়ামাল। বুক দিয়ে নামিয়ে শুধু বলকে দিক দেখার প্রয়োজন ছিল। কেননা বার্সার ডিফেন্ডারের সামনে শুধুই রিয়ালের গোলরক্ষক। কুন্দে বুক দিয়ে বলটা নামালেও গতি বেশি থাকায় সহজে ধরে ফেলেন কোর্তোয়া। অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে রদ্রিগোর ফ্রি কিক প্রতিহত করে বার্সাকে আরেকটি গোল হজম করতে দেননি সেজনি। তবে ঠিকই ২-১ ব্যবধানে মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকোয় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।

রেফারির শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে মাঠের বাইরে দুই দলের খেলোয়াড়রা জড়িয়ে পড়েন ধাক্কাধাক্কিতে। বার্সার মাঠ ছাড়ার সময়ও সেই রেশ দেখা গেছে। আর শেষ মুহূর্তে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে লাল কার্ড দেখেন পেদ্রি।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স