বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যে ‘রেইনবো নেশন’ বিষয়টি রয়েছে, যার লক্ষ্য সব জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়া। ২৪ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেলে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গারো জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব ওয়ানগালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সব সম্প্রদায়—বাঙালি, গারো বা অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী—সকলেই দেশের নাগরিক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদের ধারণা অনুযায়ী সব ধর্ম ও সম্প্রদায়কে এক পরিচয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিএনপি সরকারে আসলে ঢাকায় পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি স্থাপন এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উৎসবগুলো সরকারিভাবে উদ্যাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, “গারো সম্প্রদায়সহ দেশের সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতা রয়েছে। সংখ্যায় কম হলেও আমরা সবাই বাংলাদেশি।”
ওয়ানগালা গারো জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব। নতুন ফসল ঘরে তোলার পর সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনব্যাপী নাচ-গান ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়।
আজ বনানী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির পরিচালক পরাগ রিছিল, এবং ওয়ানগালা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শুভজিৎ সাংমা।
এছাড়া আগামী ১৫ নভেম্বর হালুয়াঘাটে ওয়ানগালা উৎসব আয়োজনের ঘোষণা দেন এমরান সালেহ এবং সবাইকে সেখানে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
ঠিকানা/এএস

ঠিকানা অনলাইন


