সিইপিজেড সূত্র জানায়, ভবনটিতে মোট ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। তবে তাঁদের কেউ আহত হননি বলে জানান চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবাহান।
জানতে চাইলে আবদুস সুবাহান বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই এ ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনের তাপে ভবনের উপরের দুটি তলা ও দেয়াল ধসে পড়েছে। আগুন উপরের দিক থেকে নিচের ফ্লোরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে, বর্তমানে নিচতলাতেও আগুন জ্বলছে। আগুনের তীব্রতা এত বেশি যে কারখানাটি থেকে ৩০০ গজ দূরেও তাপ অনুভূত হচ্ছে। ভবনের ভেতর থেকে কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। আগুনের শিখা ভবনের ছাদ পেরিয়ে ১০০ ফুট ওপর পর্যন্ত উঠছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে আশপাশের পুরো এলাকা।

প্রতিষ্ঠানটির পাশের ‘আল হামেদি টেক্সটাইল’ নামের কারখানার কয়েকজন কর্মচারী গণমাধ্যমকে জানান, আদম ক্যাপ্স কারখানায় মূলত তোয়ালে ও হাসপাতালের ব্যবহারের জন্য পিপি জাতীয় পণ্য তৈরি করা হয়। সেখানে ব্যবহৃত টিস্যু জাতীয় কাঁচামালের রোলের কারণে আগুনের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে।
ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা জনতার ভিড় সামলানো ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হতাহতের কোনো খবরও পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনের ভেতরে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন। আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হলেও পানির চাপ কম থাকায় কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঠিকানা/এএস