Thikana News
১৬ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক রাজনীতির আকাশও খুব একটা মেঘমুক্ত নয়

আন্তর্জাতিক রাজনীতির আকাশও খুব একটা মেঘমুক্ত নয়



 
বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে মানুষ কালো মেঘ দেখতে পাচ্ছে বিভিন্ন কারণে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনের পরিস্থিতি খুব যে ভালো, সেটা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। বিশ্বজুড়েই কেমন যেন একটা উত্তেজনা উত্তেজনা। বিশ্ব আকাশে যে খণ্ড খণ্ড কালো মেঘের আনাগোনা দেখা যায়, তার লক্ষণ খুব একটা সুবিধের মনে করতে পারছেন না বিশ্বধারার রাজনীতির ওপর যারা নজর রাখেন তারা। বড় যুদ্ধ না হলেও ছোটখাটো যুদ্ধ তো চলছেই। দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধও বলা যাবেÑগাজায় একতরফা ইসরায়েলি যুদ্ধ এবং অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। গাজায় আপাততঃ যুদ্ধ থামলেও প্রশ্ন রয়েই গেছে, সেই যুদ্ধ বন্ধ কি স্থায়ী হবে?

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া কতটা ইউক্রেনকে মাথা নোয়াতে পেরেছে, তা স্পষ্ট করে বলা যায় না। যদিও দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে হামাস-ইসরায়েল শান্তি পরিকল্পনা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নথিতে ট্রাম্প ছাড়াও মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিসহ অন্যান্য বিশ্বনেতারা স্বাক্ষর করেন। ১৩ অক্টোবর সোমবার মিসরে শান্তি সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তারা। শান্তি সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় মিসরের উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে। সম্মেলনে প্রায় ৩৫ জন বিশ্বনেতা অংশ নেন। কিন্তু তাদের এই চুক্তি কতটা স্থায়ী হবে সে শংকা এখনও বিদ্যামান। 
গাজায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আজ আমরা শুধু এক যুদ্ধের অবসান ঘটালাম না, মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নতুন ইতিহাস রচনা করলাম। এটি সবচেয়ে বড় চুক্তি, যা শান্তির নতুন ভোর এনে দেবে।’ এই শান্তি পরিকল্পনা চুক্তি সর্বস্বহারা গাজাবাসীর জীবনে প্রকৃত শান্তি বয়ে আনবে কি না, তা-ই এখন দেখার বিষয়।

গাজা ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের এ-কোণে ও-কোণেও যুদ্ধ চলছে। ইয়েমেন, সিরিয়ায় মাঝেমধ্যে বোমা পড়ছে। তাই এককথায় বলা যায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও থামার কোনো আলামত মিলছে না। আবার এদিকে আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। সেই সংঘর্ষ বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে, এ কথাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বিশ্লেষকেরা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা চুক্তিতে রয়ে গেছে বিস্তর অস্পষ্টতা ও চ্যালেঞ্জ, যা ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে। এই পরিকল্পনায় মনে করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
ইতিহাস এ রকম পরিস্থিতিতে ভার্সাই চুক্তির কথা মনে করিয়ে দেয় নিশ্চয়। ইতিহাসবিদ এবং রাজনীতির গবেষকেরা মনে করেন, মিত্র শক্তি জার্মানির ওপর শান্তির নামে যে ভার্সাই চুক্তি চাপিয়ে দিয়েছিল, সেই চুক্তিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটা প্রধান কারণ। তাই শান্তির নামে ফিলিস্তিনিদের ওপর এমন কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলো কি না, যাতে ভবিষ্যতে ভালোর চেয়ে মন্দ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকবে।

কমেন্ট বক্স