জুলাইযোদ্ধা-শ্রমিক বিরোধের জেরে ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহের সঙ্গে ৬ জেলার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মটর মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর মাহমুদ বলেন, জুলাইযোদ্ধার যে দাবি করেছিল তা আমরা মেনে নিয়েছি। তবে বাস বন্ধ করা হয়েছে ঢাকার ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশে। শ্রমিকরা বলছেন, গ্রেপ্তার শ্রমিককে মুক্তি না দিলে বাস চলবে না। সারদেশেই আ.লীগের বাস চলে সেগুলোও বন্ধ করতে হবে।
এর আগে শুক্রবার রাতে ঢাকায় যাওয়ার প্রক্কালে বাসে ওঠার সময় জুলাইযোদ্ধা আবু রায়হান ও মাসুদ রানাকে হেনস্তা ও লাঞ্ছিত করে বাস শ্রমিক অরুণ চন্দ্র দাস। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজি আখতার উল আলম ও সেনা-পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং অরুণ চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু জুলাই যোদ্ধারা ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহত সাগর হত্যা মামলার আসামি আমিনুল হক শামীমের মালিকানাধীন ইউনাইটেড পরিবহণে চলাচলকারী ১৬টিসহ সকল বাস বন্ধের দাবিতে রাতে ইউনাইটেড কাউন্টারের সামনে অবস্থান নিয়ে শনিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত অব্যাহত রাখে। এর প্রতিবাদে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে শহর বাইপাস সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পরে বিকেল চারটায় মালিক সমিতি এবং প্রশাসনের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষ আন্দোলন থেকে সরে আসে। কিন্তু শনিবার রাত থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী দুটি পরিবহণের বাস বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ।
ও বিষয়ে মটর মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ বলেন, আমরা জুলাই যোদ্ধাদের দাবি মেনে নিয়েছি। তবে পরিবহণ ব্যবসা চলে ঢাকার ডিসিপ্লিনারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। ঢাকা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঠিকানা/এসআর