Thikana News
১৭ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে আলোচনা

আওয়ামী লীগের ভোটাররা আগামী নির্বাচনে বড় ‘ফ্যাক্টর’ হবে

আওয়ামী লীগের ভোটাররা আগামী নির্বাচনে বড় ‘ফ্যাক্টর’ হবে



 
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না থাকলেও তাদের ভোটাররা ঠিকই থাকবে। তাদের উপেক্ষা করার উপায় নেই। অনেক আসনে তারাই জয়-পরাজয় নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ভোটাররা বড় ‘ফ্যাক্টর’ হিসেবেই থাকবে। এমন মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগকে এখনো বড় প্রতিপক্ষ হিসেবেই চিহ্নিত করে থাকেন, সেটাতে কোনো ভুল নেই। কারণ জয়-পরাজয়ের সঙ্গে অবশ্যই আওয়ামী লীগের একটা সম্পর্ক থাকবে। বিএনপি একদিকে যেমন জনপ্রিয় দল, তেমনি দেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি। সে জায়গা থেকে তারেক রহমান সঠিক পর্যবেক্ষণই দিয়ে থাকবেন, মনে করেন তিনি।

৭ অক্টোবর মঙ্গলবার এই টকশোতে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) এই অনুষ্ঠান সরাসরি দেখা গেছে ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলে। দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, আগামী জাতীয় নির্বাচন, সরকারের কর্মকাণ্ড- এসব নিয়ে কথা বলেন দুই অতিথি।

আপাতত এটা স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। জুলাই মিত্র দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিবে, এটা নিশ্চিত। কিন্তু ভোট সামনে রেখে জোটের মেরুকরণ কী হবে, সেটা এখনো পরিস্কার হয়নি। এবি পার্টি বিএনপি, নাকি জামায়াতের দিকে যাবে- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত এখনো যেভাবে কাজ করছে, তাতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আলামত নেই। তাই আমরা কিছু মধ্যপন্থী দল- যারা জুলাই সনদ নিয়ে অনেক বিষয়ে একমত, তারা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সামনে রেখে জোট করা যায় কি না সেই চেষ্টা করছি। তবে এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি।’

এদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে চলেছে। কিন্তু ইসি তাদের প্রত্যাশামতো শাপলা প্রতীক দিতে চাইছে না। এই প্রতীক আদায় করার দিকেই যেন এখন এনসিপি নেতাদের সব মনযোগ। এ নিয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ভাষ্যকার ডা. আব্দুন নূর তুষার বলেন, ‘এনসিপি নেতাদের মনোভাব এমন যে তারা যা চাইবেন, তা দিতেই হবে। কোনো রাজনৈতিক দল নিজে কী নিজের প্রতীক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারে? চূড়ান্ত ক্ষমতা তো নির্বাচন কমিশনের হাতে। তারা যদি অন্য কোনো প্রতীক বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেয়, তাই বলে কোনো দল কী সেই কমিশনকে হুমকি-ধামকি দিতে পারে?’

শাপলা প্রতীক পেতেই হবে- এনসিপির এমন কট্টর অবস্থান মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না বলে মনে করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতীক হিসেবে চেয়েছিলাম চাবি, কিন্তু আমাদের দিয়েছে ঈগল। তবু বলবো, এনসিপির চাওয়াটা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু এই শাপলা আগে চেয়েও পায়নি মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য। সেটাও ভেবে দেখতে হবে এনসিপিকে। তাই একটা প্রতীক পাওয়ার আগেই কঠিন অবস্থান নেওয়া উচিত নয়।‘ তবে আইনি কোনো সমস্যা না থাকলে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতেই পারে ইসি, এমন মতও দিয়ে রাখলেন তিনি।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স