বজ্রপাতে সারাদিনে দেশের ছয় জেলায় ১০ জন মারা গেছেন। মৃত্যুবরণ হওয়া মধ্যে কুমিল্লায় ৩ জন, নারায়নগঞ্জে ১ জন, ঝিনাইদহে ২ জন, গাইবান্ধায় ১ জন, কুড়িগ্রামে ২ জন ও বগুড়ায় ১ জন মারা গেছেন।
কুমিল্লা : বিকেলে হোমনার ভবানীপুর খেয়াঘাটে বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, উপজেলার নালা দক্ষিণ গ্রামের মৃত হাজী মতিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৫) ও জাকিয়া (২৫) এবং খোদে দাউদপুর গ্রামের রাহিনুর ইসলামের ছেলে রাশেদ মিয়া (২২)।
নারায়ণগঞ্জ : আড়াইহাজারে কালাপাহাড়িয়া এলাকায় বজ্রপাতে ওয়াসিম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে ওয়াসিম উলুকান্দি এলাকার দিলা মিয়ার ছেলে। স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ঝিনাইদহ : সকালে মাঠে কাজ করার সময় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের শমসের বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস (২৮) ও শৈলকূপার শেখড়া গ্রামের হুরমত শেখ (৫৫) মারা গেছেন।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সাঘাটায় বজ্রপাতে আব্দুল আজিজ (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
কুড়িগ্রাম : নাগেশ্বরীতে পৃথক বজ্রপাতে মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলো, মোহাম্মদ বাবলু মিয়া (৭) ও সহিব। বাবলু মিয়া উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকায় এলাকার নূর হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো। অপরদিকে সহিবর উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নের চর লুচনি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
বগুড়া : বগুড়ার গাবতলীতে গরুর ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমাছেও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম শেফালি বেগম (৪০)। তিনি ওই গ্রামের দেলোয়ার প্রামাণিকের স্ত্রী।
ঠিকানা/এএস