Thikana News
২৭ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫


বিশেষ সাক্ষাৎকার

দেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতিতে ‘আতঙ্কিত’ হওয়ার কিছু নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

দেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতিতে ‘আতঙ্কিত’ হওয়ার কিছু নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা



 
অনুশীলন, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অংশ হিসেবে এক দেশের সামরিক সদস্যরা অন্য দেশে যেতেই পারে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তাই দেশে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি ‘আতঙ্কিত’ হওয়ার মতো কিছু নয়, দাবি করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

সোমবার বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে ঠিকানা টিভিকে তিনি আরো বলেন, ‘ভয় পাওয়ার মতো তেমন কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। বিভিন্ন দেশের মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময় নিয়মিত একটি ঘটনা। আগেও দেশে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনী সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এবারও অনুশীলনের অংশ হিসেবে কিছু সদস্য এসেছিলেন।’

জাতিসংঘ অধিবেশনের জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। সেই ব্যস্ততার মধ্যেই ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি হন তিনি। বিশেষ এই সাক্ষাৎকার ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) সরাসরি প্রচারিত হয় ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলে।

ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা প্রায়ই দাবি করতেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সেটা না দেওয়াতেই তার সরকারকে চাপে রাখছে মার্কিন সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কারণ হিসেবেও তিনি এটি সামনে আনছেন প্রায়ই। যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এমন সামরিক সুবিধা পাচ্ছে কি না, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কিছু ঘটেনি। এসব নিয়ে যেসব আলোচনা, সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত বাড়তি যে বাণিজ্য শুল্ক তাতে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে, বলছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি আরো বলেন, ৩৫ শতাংশ থেকে শুল্ক ২০ শতাংশে আনা গেছে। এটা এক ধরনের সাফল্য। তবে আলোচনা এখনো চলমান। এটা আরো কমতে পারে।

‘দর কষাকষি যখন চলমান, তখন কথা যত কম বলা যায়, ততোই ভালো’, যোগ করেন তিনি। ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি যে আপাতত গোপনই থাকছে, জনসম্মুখে আনা হচ্ছে না- সেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

এদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানকে যখন নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার তখন থেকেই আলোচনা আছে যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্ষমতা কমাতেই এই উদ্যোগ। তাই দুজনের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে- আছে এমন আলোচনাও। তবে বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত বলে দাবি করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ড. খলিল আমার পুরনো বন্ধু। তাকে ৪০ বছর ধরে চিনি। অনেক দেশেই তার মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। তার কর্মক্ষেত্রও সীমিত নয়। কাজের ক্ষেত্রে দুজনেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছি। পরস্পরকে অনেক তথ্য জানাই আমরা।’

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স