আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করতে পারাই নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় সার্থকতা হবে বলে মনে করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত হয়েছে, বিশ্বাসযোগ্যতা। আমাদের সমন্বিতভাবে চাইতে হবে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে হবে।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে ২ সেপ্টেম্বর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথম ধাপে মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন অুনষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। প্রতি ব্যাচে শতাধিক প্রশিক্ষক নিয়ে তিন হাজার ২০০ জনকে টিওটি দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাস্টার ট্রেইনাররা সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছায়নি। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে নির্বাচন নিয়ে হা-হুতাস করতে হয় না। বিশেষকরে ইউরোপের অনেকগুলো দেশ, যেখানে নির্বাচন খুব শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। ওরা গণতন্ত্রের একটা বিশেষ অবস্থানে গিয়ে থিতু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ যেখানে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, সেটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন আসন্ন, এর জন্য পস্তুতি প্রয়োজন। প্রস্তুতি ছাড়া নির্বাচন করা কঠিন। প্রস্তুতির একটি অংশ হচ্ছে যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা। প্রশিক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনো রকম সংশয় রেখে এখান থেকে বিদায় নেবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা আজকে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন তারা কেউ নির্বাচন কমিশনের স্থায়ী কর্মকর্তা নন। বিভিন্ন ডিসিপ্লিন এবং বিভিন্ন সার্ভিস থেকে আপনারা এখানে এসেছেন। সংবিধান ও আইনে এই নির্দেশনা আছে, যে কাউকে নির্বাচন কমিশন আদেশ করতে পারে, নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য। সেদিক থেকে ঐতিহ্যটা গড়ে উঠেছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘৯ লাখের বেশি নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে হবে। রিটার্নিং অফিসারের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা, আমি বলব বর্ধিত করা হয়েছে এবং দায়িত্বপূর্ণ করা হয়েছে। এটা যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে এসেছেন তাদের দেওয়া হবে।’
ঠিকানা/এম