মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক যুদ্ধ তীব্র হওয়ার প্রেক্ষাপটে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন ধারা আনতে কাজ করছে ভারত ও চীন। পাঁচ বছর আগে গালওয়ানে সংঘর্ষের পর প্রথমবার নয়াদিল্লি সফর করছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
জয়শঙ্কর বৈঠকে বলেন, ভারত-চীনের সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে, এখন স্পষ্ট এবং গঠনমূলক আলোচনা জরুরি। তিনি “তিন পারস্পরিক” (পারস্পরিক সম্মান, সংবেদনশীলতা ও স্বার্থ) নীতি অনুসরণের ওপর জোর দেন। সীমান্ত শান্তি বজায় রাখাকে তিনি ইতিবাচক অগ্রগতির শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। খবর এনডিটিভির।
চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারতের সার, রেয়ার আর্থ ও টানেল বোরিং মেশিন সংক্রান্ত উদ্বেগ মোকাবিলা করবে। বিশেষ করে রেয়ার আর্থ উপাদানগুলো উচ্চপ্রযুক্তি পণ্য ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়াং ই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলেন, বিশ্ব এখন “শতাব্দীতে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনের” মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং “একতরফা বুলিং বেড়ে গেছে”। তিনি বলেন, ২৮০ কোটি মানুষের দুই বৃহৎ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারত-চীনকে বহুমুখী বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দিতে হবে।
চীন জানায়, কাজানে নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরায় উষ্ণ হচ্ছে। সীমান্ত শান্তি বজায় রাখা, পর্যটন ও তীর্থযাত্রা পুনরায় চালু হওয়া এবং বিভিন্ন স্তরে সংলাপ ফের শুরু হওয়া ইতিবাচক প্রবণতা নির্দেশ করছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ভারতের পণ্য রপ্তানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা বিভিন্ন খাতে প্রভাব ফেলবে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ— ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনে শুল্কনীতিকে পাশ কাটাচ্ছে। তবে ভারত বলেছে, তাদের জ্বালানি আমদানি সম্পূর্ণ বাজারভিত্তিক এবং ১৪০ কোটি জনসংখ্যার জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, চীন রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কিনে শোধন করে বৈশ্বিক বাজারে বিক্রি করে, তাই সেখানে নিষেধাজ্ঞা দিলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও বেড়ে যেত।
ঠিকানা/এসআর