Thikana News
২৯ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫


মিয়ানমারের বন্দিশিবিরে নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

মিয়ানমারের বন্দিশিবিরে নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দেশটির সাধারণ মানুষ। ফাইল ছবি



 
পরিকল্পিতভাবে মিয়ানমারের বন্দি শিবিরগুলোতে আটক ব্যক্তিদের নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। এসব নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ। ১২ আগস্ট (মঙ্গলবার) জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

এছাড়া বন্দিদেরকে প্রহার এবং বৈদ্যুতিক শকের মতো ভয়াবহ নির্যাতন করার কথা জানিয়েছে দ্য ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ ফর মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘন যাচাই করার জন্য ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন তদন্তকারী ব্যবস্থা আইআইএমএম বলেছে, আটক ব্যক্তিদের মারধর, বৈদ্যুতিক শক, শ্বাসরোধ এমনকি নখ উপড়ে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

তদন্ত দলের প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান তাদের ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যসহ উল্লেখযোগ্য প্রমাণ উন্মোচন করেছি, যা মিয়ানমারের আটক কেন্দ্রগুলোতে পরিকল্পিত নির্যাতনের প্রমাণ দেয়।’

নির্যাতনের ফলে কিছু বন্দীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী দলটি। প্রতিবেদনে শিশুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ও উঠে এসেছে। এসব শিশুদের প্রায়শই তাদের নিখোঁজ পিতামাতার জন্য প্রক্সি হিসেবে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের দলটি মিয়ানমারে তথ্য ও প্রবেশাধিকারের জন্য দুই ডজনেরও বেশিবার আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে, যার কোনোটিরই উত্তর দেয়নি মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তবে বরাবরই নৃশংসতা অস্বীকার করে আসছে দেশটির সেনাবাহিনী। বরং, তারা দেশের মধ্যে অস্থিরতার জন্য সন্ত্রাসীদের দায়ী করে আসছে।

এক বছর ধরে কমপক্ষে ১ হাজার ৩০০ সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে অনুসন্ধানটি চালানো হয়। আইআইএমএম জানিয়েছে, অপরাধীদের মধ্যে উচ্চপদস্থ কমান্ডাররা রয়েছে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সর্বশেষ অস্থিরতা শুরু হয়। এরপরই দেশব্যাপী সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘের ধারণা, ভিন্নমত দমন এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সামরিক বাহিনীর অবস্থা জোরদার করার প্রচেষ্টায় হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে।

গত মাসে, সামরিক সরকারের নেতা মিন অং হ্লাইং চার বছরের জরুরি অবস্থা অবসান করেন এবং পরিকল্পিত নির্বাচনের আগে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স