Thikana News
২৮ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের মামলা

বিচারিক কাজে অসহযোগিতার অভিযোগে ডিসিকে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ

বিচারিক কাজে অসহযোগিতার অভিযোগে ডিসিকে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের মামলার শুনানিতে বিচারিক কাজে অসহযোগিতার অভিযোগে ডিএমপির অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তারেক জুবায়েরকে ব্যাখ্যা দেওয়ার (শোকজ) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত এ আদেশ দেন। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ২৭ জুলাই (রবিবার) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আদালতের দেওয়া আদেশে বলা হয়েছে, যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় গত ২৪ জুলাই এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। শুনানির জন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ডিএমপির অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের ডিসি তারেক জুবায়ের তার মোবাইল ফোন থেকে বিচারককে কল দেন। তখন তিনি আসামিকে আদালতের ভবনের নিচে প্রিজনভ্যানে রেখে শুনানি করার জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকেন।

আদালতের ভাবমূর্তি রক্ষায় এবং বিচারিক কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা থেকে বিরত রাখার জন্য বিচারক ওই প্রস্তাব নাকচ করেন। পরে ৭টা ১৪ মিনিটে আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়ায় বিচারক তাকে কল করে জানতে চান, আসামি হাজির করতে কেমন সময় লাগতে পারে। জবাবে ডিসি তাকে বলেন, তিনি জানাতে পারবেন না।

এসময় বিচারক আনুমানিক সময় জানানোর অনুরোধ করলে তিনি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে কথা বলতে বা কোনো তথ্য দিতে ইচ্ছুক নন বলে জানান।
 
এ ছাড়া তিনি এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, ডিসি বিচারিক কার্যধারায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির অধীন হওয়া সত্ত্বেও দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলা সংক্রান্ত বিচারিক তথ্য দিতে অস্বীকার করে ধৃষ্টতাপূর্ণ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। যা পুলিশ প্রবিধান ও পুলিশ আইনসহ প্রচলিত আইন পরিপন্থী এবং বিচারিক কার্যধারায় অসহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড সুস্পষ্টভাবে পেনাল কোডের ১৭৬, ১৭৯ ও ২২৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 
 
এ ছাড়া বিচারিক কাজে অসহযোগিতা করা স্পষ্টত আদালত অবমাননার শামিল। এ কর্মকাণ্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার জন্য বিষয়টি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে কেন প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠানো হবে না, সে মর্মে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গত ২৪ জুলাই সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স