Thikana News
২৩ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

দেশ গড়ার প্রত্যয়ে জনতার দোরগোড়ায় এনসিপি

দেশ গড়ার প্রত্যয়ে জনতার দোরগোড়ায় এনসিপি
জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে একাধিকবার বাধার সম্মুখীন হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গোপালগঞ্জে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগ এবং নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সমাবেশ মঞ্চ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর কক্সবাজারে ভাঙচুর করা হয় এনসিপির পথসভার মঞ্চ। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে হুমকি ও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নিয়ে গড়া নতুন এ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
দলটির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পুরোনো ধাঁচের রাজনীতিতে অভ্যস্ত। এ জন্য এনসিপির নতুন ধারার রাজনীতিকে বাধাগ্রস্ত করছে তারা। তবে এভাবে তাদের দমানো যাবে না উল্লেখ করে এনসিপির নেতারা বলেন, যদি হামলা-মামলা দিয়ে বাধার চেষ্টা করা হয়, তাহলে আরও দ্বিগুণ শক্তিতে রাজনীতিতে টিকে থাকবেন তারা।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতাদের হাত ধরে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই দলের শীর্ষ নেতারা রাজপথে নেতৃত্ব দিয়ে কোটা সংস্কার বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের রাজত্ব চূর্ণবিচূর্ণ করেছেন। দলটি রাজপথ থেকে জাতীয় সংসদে যেতে চায়, সে জন্য সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের জনসংযোগ, মিছিল ও পথসভা করছে এনসিপি। তাদের লক্ষ্য দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে দলটি। নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে চেয়েছে ‘শাপলা’।
জানা গেছে, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপি দলীয় অবস্থানের জানান দিতে জনগণের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যে গাইবান্ধা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় পথসভা করেছে এনসিপি। প্রতিটি পথসভায় ব্যাপক সাড়া পেয়েছে দলটি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বড় সাফল্যের পর রাজপথই বেছে নিয়েছেন তরুণ নেতারা। একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সব সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে চায়। ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় গড়ে তোলা ও গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষায় রাজনীতির অগ্রাধিকার দিয়েছে। সমাজে ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বিভেদের বদলে ঐক্য, প্রতিশোধের বদলে ন্যায়বিচার এবং পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠিত এবং রাজনীতিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অবসান ঘটাতে চায় এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের তরুণেরা স্বপ্ন দেখে আগামী বাংলাদেশ নতুন এক সংবিধানের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। সেই স্বপ্ন নিয়ে এনসিপি সামনের দিকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা জানি আমাদের এ লড়াই কঠিন। এ হামলা, বাধা আমাদের সামনে আসবে জেনেই আমরা এ পথ বেছে নিয়েছি। শেখ হাসিনা যেহেতু আমাদের দমাতে পারেনি, আর কোনো শক্তি আমাদের রুখে দিতে পারবে না। আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি, নতুন বাংলাদেশের জন্য আমাদের লড়াই চলবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মুজিববাদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ আমরা শুরু করেছি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলুপ্তের যে লড়াই আমরা শুরু করেছি, সেই লড়াই শেষ না করে আমরা থামব না। ফ্যাসিবাদ ও মুজিববাদের বিরুদ্ধে আরও একটি লড়াই আসছে, আমরা তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

 

কমেন্ট বক্স