Thikana News
২১ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেলেও পদত্যাগে রাজি নন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেলেও পদত্যাগে রাজি নন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছবি : সংগৃহীত
সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় ধাক্কা খাওয়ার পরও পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। ২০ জুলাই (রবিবার) অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন জোট উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি ইস্যুতে দেশজুড়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। এসব কারণেই লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) এবং এর জোটসঙ্গী কোমেইতো পার্টি জনরোষের মুখে পড়ে।

নির্বাচনে উচ্চকক্ষের ২৪৮টি আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন জোটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে প্রয়োজন ছিল ৫০টি আসন। কিন্তু তারা পেয়েছে মাত্র ৪৭টি, ফলে উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে তারা।

এই ফলাফলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা বলেন, 'আমি এই কঠিন ফলাফলকে সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছি। তবে এখন আমার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বাণিজ্য আলোচনার দিকে।'

বিশ্লেষকদের মতে, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি চালের দাম ও রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির প্রভাবও ভোটের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

কান্দা ইউনিভার্সিটি অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষক জেফরি হল বলেন, ডানপন্থী ছোট দলগুলো এলডিপির ঐতিহ্যবাহী রক্ষণশীল ভোটব্যাংকে ভাগ বসিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নতুন রাজনৈতিক শক্তি সানসেইতো পার্টি, যারা ‘জাপান ফার্স্ট’, অভিবাসনবিরোধী অবস্থান এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে অনেক ডানপন্থী ভোটারকে আকৃষ্ট করেছে।

করোনা মহামারির সময় ইউটিউবভিত্তিক প্রচারণার মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া দলটি সামাজিক মাধ্যমে তরুণদের মধ্যেও প্রভাব ফেলেছে। এদিকে জাপানে বিদেশি নাগরিক ও পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জনগণের একাংশ মনে করছে, তারা দেশের সুযোগ-সুবিধার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ইশিবার সরকার একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে, যার লক্ষ্য হলো বিদেশিদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী আচরণ প্রতিরোধ করা।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপও সরকারকে সংকট থেকে সহজে উদ্ধার করতে পারবে না। জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এখন তাদের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতার ওপর।

ঠিকানা/এএস 

কমেন্ট বক্স