ভারতীয় ক্রিকেটার ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) পেসার যশ দয়াল চরম আইনি জটিলতায় জড়িয়েছেন। ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে এক নারী তার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন, মানসিক হয়রানি, প্রতারণা এবং ভুয়া বিয়ের আশ্বাসে যৌন শোষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। ঘটনায় গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরম থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির নতুন সংস্করণ ভারতীয় ন্যায় সঞ্চিতার ৬৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, পাঁচ বছর ধরে যশ দয়ালের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের শুরু থেকেই বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘দয়াল আমাকে তার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, স্বামীর মতো আচরণ করেছিলেন। আমি তাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু যখন বুঝি সবটাই ছিল প্রতারণা, তখন প্রতিবাদ করতেই তিনি শারীরিকভাবে মারধর ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এই সময়ের মধ্যে আমি অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি,’ —এমনটাই বলা হয়েছে এফআইআরে।
ভারতীয় ন্যায় সঞ্চিতার ধারা ৬৯ অনুযায়ী, প্রতারণার মাধ্যমে, বিশেষ করে বিয়ের বা চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
ঘটনা নিয়ে গাজিয়াবাদ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ট্রান্স-হিন্দন ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) নিমিশ পাটিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এফআইআর দায়ের করেছি। তদন্ত চলছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
২৭ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার গত আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন এবং ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভারতের একটি উদীয়মান নাম ছিলেন। কিন্তু এখন এই মামলার কারণে তার ক্যারিয়ার ও ভাবমূর্তি দুটিই প্রশ্নের মুখে।
ক্রিকেটারদের ব্যক্তিজীবন বহুবার খবরের শিরোনামে এসেছে। তবে যশ দয়ালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তবে সেটি শুধু তার ক্যারিয়ারের জন্য নয়, ভারতের ক্রিকেট-সমাজের জন্যও বড় ধাক্কা হয়ে উঠতে পারে। এখন নজর থাকবে তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ার দিকে।
ঠিকানা/এএস