মিয়ানমারে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে অবিশ্বাস্য সাফল্য অর্জন করে মধ্যরাতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার আসন্ন এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়া এই দলকে বিমানবন্দর থেকেই বরণ করে নেওয়া হয় জমকালো আয়োজনে। হাতিরঝিলে ক্লান্ত দলকে নিয়ে আয়োজন করা হয় বিশেষ সংবর্ধনা, যেখানে মিষ্টি ও ফুল দিয়ে খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানানো হয়।
এই ইতিহাস গড়া সাফল্যের পর সোমবার রাতে বড় খবর আসে ক্রীড়াঙ্গন থেকে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নারী ফুটবল দলের জন্য ৫০ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। তার এই উদ্যোগে খেলোয়াড়দের মনোবল যেমন আরও চাঙ্গা হবে, তেমনি দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষও আনন্দে উদ্বেল।
তবে এই আনন্দের ভিড়েও কিছু প্রশ্ন থেকে গেছে। এর আগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে যে দেড় কোটি টাকার বোনাস ঘোষণা করেছিল বাফুফে, সেটি এখনও খেলোয়াড়দের হাতে পৌঁছায়নি। এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়ার পরও নতুন কোনো বোনাসের ঘোষণা আসেনি বাফুফের পক্ষ থেকে। বরং শুধু সংবর্ধনা আর ফুল-মিষ্টির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে তাদের আয়োজন।
অন্যদিকে, ভারতের নারী ফুটবল দল এশিয়ান কাপে ওঠার পর ৫০ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় ৫৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ পুরস্কার পেয়েছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এখনও প্রাপ্য অর্থের জন্য অপেক্ষায়।
ক্রীড়া উপদেষ্টার ঘোষণায় অবশ্য নতুন করে আশার আলো দেখছেন ঋতুপর্ণারা। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলতে যাওয়া এই দলটি ইতোমধ্যেই নতুন যুগের সূচনা করেছে। এ অর্জন শুধু ফুটবল নয়, পুরো দেশের নারী ক্রীড়া আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এখন সবার প্রত্যাশা, আগের বোনাসের টাকা দ্রুত পরিশোধের পাশাপাশি নতুন পুরস্কারের অর্থও দ্রুত খেলোয়াড়দের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে, যেন তারা আরও মনোযোগী হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের জন্য সাফল্য বয়ে আনতে পারেন।
ঠিকানা/এএস