Thikana News
২৩ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

বরেণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে জোট আসছে!

বরেণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে জোট আসছে!
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এককভাবে নয়, অন্য সব ইসলামী দলকেও সঙ্গে নেবে তারা। অপরাপর গণতান্ত্রিক, বাম গণতান্ত্রিক দল ও গ্রুপকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন, দেশ পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বিস্ময়করভাবে উগ্র বামপন্থীদের সঙ্গেও জামায়াত ও অপর কয়েকটি ইসলামী সংগঠনের অপ্রকাশ্য যোগাযোগ, সম্পর্ক রয়েছে।
জামায়াতের আমির অপরাপর ইসলামী দল ও গণতান্ত্রিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ভবিষ্যতে সরকার গঠনের কথা দলীয় অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছেন। আগামী নির্বাচন জোটবদ্ধভাবে অথবা পারস্পরিক সমঝোতায় পৃথকভাবে করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। চরমোনাইর পীরের ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কয়েকটি ধর্মীয় আদর্শগত বিষয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এসব দ্বন্দ্ব-বিরোধ অমীমাংসিত রেখে তারা নির্বাচন, সরকার গঠন ও ক্ষমতার ভাগীদার হওয়ার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা শুরু করেছে। হেফাজতে ইসলাম, হাফেজ্জী হুজুরের সংগঠন, খেলাফত মজলিসসহ আরও কয়েকটি দলের নেতাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী উদ্যোগী হয়ে উল্লিখিত বিষয়ে আলোচনা করছে।
জামায়াত ও অপর ইসলামী দলগুলো মনে করছে, রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার এখনই মোক্ষম সময় ও সুযোগ। ৫০ বছরে তারা যে সুযোগ পেয়েছে তা নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থকেন্দ্রিক বিরোধ, ছোটখাটো ভুল-বোঝাবুঝির জন্য হেলায় হারানো সমীচীন হবে না। ইসলামী আদর্শ, নীতিগত মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সুযোগ তারা সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করার প্রশ্নে একমত। সব বিভেদ, মতপার্থক্য ভুলে ইসলামী শক্তির ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং একসঙ্গে আগামী নির্বাচনসহ সম্ভাব্য সব রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন ইসলামী দলগুলোর নেতারা। তারা আস্থাশীল, ইসলামী দলগুলো দেশের আলেম-ওলামাদের সঙ্গে নিয়ে দেশব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার একটা ইতিবাচক ফল তারা পাবেন।
ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ অপর ধর্মীয় দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বৈঠকে সমমনা ইসলামী ও গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া হয়েছে। তারা কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ, ড. কামাল হোসেন, আ স ম রবসহ কয়েকজন বরেণ্য রাজনীতিবিদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে আলোচনায় বসার আগ্রহও ব্যক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, গণতান্ত্রিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটবদ্ধ থেকে নির্বাচন, আগামী রাজনীতিতে অগ্রসর হতে আগ্রহী। তা সত্ত্বেও তাদের ইসলামী ধারায় নবতর ঐক্যের প্রক্রিয়ায় উৎসাহী হওয়ার বিষয়টি বিএনপি গভীর আগ্রহের সঙ্গে লক্ষ করছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক থাকলেও তাদের নিয়ে জোটবদ্ধ বা পারস্পরিক সমঝোতায়, পৃথক অবস্থান থেকে নির্বাচনের কথা ভাবছে না কেউই। বিদ্যমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তারা পৃথক অবস্থান থেকে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
কর্নেল (অব.) ড. অলি আদর্শিক কারণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বার্থেই জামায়াতের সঙ্গে বৃহত্তর সমঝোতায় নির্বাচনে, এমনকি সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনায়ও আগ্রহী। জামায়াতকে সৎ, নীতি-আদর্শনিষ্ঠ রাজনৈতিক দল মনে করে এলডিপি। তার চেয়েও বড় হচ্ছে নিজ নির্বাচনী এলাকার বিপুলসংখ্যক ভোটার জামায়াতের। তাদের সমর্থন ছাড়া কর্নেল (অব.) অলির পক্ষে জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়।
জামায়াত নেতারা ড. কামাল হোসেন, আ স ম রবসহ কয়েকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একান্তে আলোচনা করবেন। মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠন, বরেণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও জামায়াত নেতারা কথা বলবেন। চেষ্টা করবেন তাদেরকে এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় শামিল করতে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের সম্পৃক্ত করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
 

কমেন্ট বক্স