জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার অস্থায়ী সদস্য হিসেবে দুই বছরের মেয়াদ শুরু করে ইসলামাবাদ। ২০১৩ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো এই পদে অধিষ্ঠিত হলো দেশটি। এটি নিয়ে অষ্টমবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে পাকিস্তান।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের এই পদটি মূলত একটি প্রতীকী অবস্থান। যদিও এতে নির্বাহী ক্ষমতা নেই, তবুও বৈশ্বিক কূটনীতিতে এর তাৎপর্য অনেক। বিশেষ করে, এমন এক সময় এই দায়িত্ব পেল পাকিস্তান, যখন তার প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। খবর জিও নিউজের।
জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতিখার আহমেদ এ দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় জাতিসংঘের সনদের নির্দেশনা এবং বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা সময়োপযোগী ও সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।' তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে বর্তমানে যেসব জটিল ও অনিশ্চিত ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে—তা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। এই বাস্তবতায় পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
এদিকে, পাকিস্তান বর্তমানে জাতিসংঘ সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছে।
সাম্প্রতিক কাশ্মিরের পেহেলগাম হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তান উত্থাপন করতে পারে বলে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা চলছে।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, ইসলামাবাদের পদক্ষেপ মোকাবিলায় নয়াদিল্লি ইতোমধ্যে একটি কৌশল নির্ধারণ করেছে। এই কৌশলের মূল লক্ষ্য হবে ভারতের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতি তুলে ধরা। পাশাপাশি, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ নিয়েও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় ভারত।
ঠিকানা/এএস