Thikana News
২২ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচন

হাসিনাসহ ৩ সিইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ বিএনপির

হাসিনাসহ ৩ সিইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ বিএনপির ছবি : সংগৃহীত



 
সংবিধান লঙ্ঘন করে বিগত তিন জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের কারণে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তিন সিইসিসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ইসিতে অভিযোগ জানিয়েছে বিএনপি। ২২ জুন (রবিবার) সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল অভিযোগটি দায়ের করেন।

এতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্যান্য কমিশনার ও সচিবসহ ১৯ জন এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে এ অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি। তবে তালিকাটি চূড়ান্ত নয়। তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান মো. সালাহউদ্দিন খান।

তিনি আরও জানান, যারা নির্বাচন পরিচালনা করেছেন সেসব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর আগে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে নির্বাচনি জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনের পর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ভোটের আগের রাতেই আওয়ামী লীগের পক্ষে ব্যালটে সিল মারা হয়। ফলাফলও হয় একতরফা। নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৮৮টি আসন। অপরদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র ৮টি আসন। তখনকার কে এম নূরুল হুদা কমিশন বিষয়টি জানার পরও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো ধামাচাপা দেয়। ওই কমিশনের সিইসি ছিলেন কে এম নুরুল হুদা।  ওই কমিশনের নির্বাচন কমিশনার ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। আরেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মারা গেছেন।  

আওয়ামী লীগের দলীয় ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন করে ‘আমি-ডামি ভোট’ উপাধি পায় কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ওই কমিশনের বেশিরভাগ কার্যক্রম নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ওই নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়ে বলে জানানো হলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার ৪০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। অবশ্য ভোটের হার ঘোষণার সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলে পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হাবিবুল আউয়াল লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করছেন। ওই কমিশনের নির্বাচন কমিশনার ছিলেন-ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আনিছুর রহমান, মো. আলমগীর ও বেগম রাশেদা সুলতানা।

ঠিকানা/এএস 
 

কমেন্ট বক্স