Thikana News
২০ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইসরায়েলপন্থী নীতির সমালোচনা করায় পেন্টাগন কর্মকর্তা বরখাস্ত

ইসরায়েলপন্থী নীতির সমালোচনা করায় পেন্টাগন কর্মকর্তা বরখাস্ত ছবি সংগৃহীত



 
মধ্যপ্রাচ্য ও ইসরায়েল-সংক্রান্ত মার্কিন নীতির সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছেন পেন্টাগনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। খবর আনাদুলুর।

বহিষ্কৃত কর্মকর্তা কর্নেল নাথান ম্যাককরম্যাক জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগ (জে৫)-এর লেভান্ত ও মিসর শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ইহুদি সংবাদমাধ্যম জুইশ নিউজ সিন্ডিকেট (জেএনএস)-এর এক প্রতিবেদনের পর ঘটনাটি সামনে আসে। সেখানে দাবি করা হয়, ম্যাককরম্যাকের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি আংশিক-অজ্ঞাতনামা এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে ইসরায়েলকে ‘আমাদের সবচেয়ে খারাপ মিত্র’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

একজন পেন্টাগন কর্মকর্তা জেএনএস-কে জানান, ‘তদন্ত চলাকালীন তিনি (অভিযুক্ত) জয়েন্ট স্টাফের কেউ নন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ম্যাককরম্যাককে আপাতত তার নিজস্ব বাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মিডল ইস্ট আই এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্কিত পোস্টগুলোতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সহযোগীদের ‘ইহুদি-সাম্প্রদায়িক আধিপত্যবাদী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

পোস্টে আরও অভিযোগ করা হয়, তারা ফিলিস্তিনিদের ‘এরেতজ ইসরায়েল’ (ইসরায়েলি ভূখণ্ড) থেকে জাতিগতভাবে নিধন করতে চায়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের তিক্ত মন্তব্য অভিজ্ঞদের থেকে কাম্য নয়। এই পদমর্যাদার কেউ যদি নিজের নাম ও চেহারা প্রকাশ করে এমন পোস্ট করেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর।

পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট পোস্টগুলো জয়েন্ট স্টাফ বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।

ম্যাককরম্যাকের লিংডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি জুন ২০২৪ থেকে এই দায়িত্বে ছিলেন।

মিডল ইস্ট আই আরও জানায়, ওই পোস্টগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ‘খারাপ আচরণ’ কে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় এবং বলা হয়, হলোকাস্ট-পরবর্তী অপরাধবোধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলের সমালোচনা করে না।

ম্যাককরম্যাকের এক পোস্টে বলা হয়, দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডই জাতিগত নিধন ও গণহত্যার অভিযোগের জন্ম দিয়েছে।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স