Thikana News
০১ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি ‌‘এপ্রিল ফুল’ হতে পারে : ১২ দলীয় জোট

এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি ‌‘এপ্রিল ফুল’ হতে পারে : ১২ দলীয় জোট ছবি সংগৃহীত



 
এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি ‌‘এপ্রিল ফুল’ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ১২ দলীয় জোট। তারা বলছে, এপ্রিল ফুলের শিকার হওয়ার জন্য নয়, জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পেতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে।

শুক্রবার নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শনিবার (৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন দলটির নেতারা।

তারা বলেন, কেবল একটি দল নয়, দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি এপ্রিল ফুল হতে পারে। সে সময় শিক্ষার্থীদের সাধারণ পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া নির্বাচনের অনুকূল থাকে না। সুতরাং রাজনৈতিক ও গণদাবি মেনে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন মানে রমজানের কিছুদিন পর। রমজানে নির্বাচনের কাজ করার সুযোগ নেই। একদিকে কালবৈশাখী, একদিকে চৈত্রের খরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কাকে খুশি করার জন্য অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে সরিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইছেন।

বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের বিষয়ে তারা বলেন, এই বক্তব্য সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি দিতে পারেন না। তিনি নিজের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রথম দাবিদার দেশের মানুষ। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠল, আদৌ প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না।

ঈদের পর প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন কি না, সে বিষয়টিও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

তারা আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া তিনি পূরণ করবেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স