হারিকেন হিলারি মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্যালিফোর্নিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, হারিকেনটি ১৯ আগস্ট শক্তি হারিয়ে ক্যাটাগরি-৪ থেকে ক্যাটাগরি-১ এ রূপ নিয়েছে। কিন্তু এর প্রভাবে বাজা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা করছে দেশটি। ক্যালিফোর্নিয়ায় ৮৪ বছরে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় দেখা যায়নি। ফলে আবহাওয়াবিদরা হারিকেন হিলারিকে 'ঐতিহাসিক' ঝড় হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার ব্যাপারে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গভর্নর গ্যাভিন নিউসম হারিকেন হিলারির প্রতিক্রিয়া এবং ঝড় পরবর্তী উদ্ধার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শনিবার দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বেশিরভাগ অংশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।’ এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ওই অঞ্চলে সাধারণত এক বছরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়-সে পরিমাণ বৃষ্টি একদিনেই হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ঝড়ের বাতাসের বেগ প্রতি ঘন্টায় ১৩০ মাইল থেকে ৯০ মাইলে নেমে এসেছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে তার গতিবেগ বাড়িয়েছে। ফলে এটি প্রত্যাশিত সময়ের আগেই (স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায়) আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে ঝড়টি ঘণ্টায় ১৮ মাইল বেগে এগিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঝড়টি সান ডিয়েগো থেকে ৫৩৫ মাইল দূরে ছিল। তবে ঝড়টি বর্তমানে উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার শীতল জলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এর শক্তিও কমবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঝড়ের প্রভাবে যে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে সেটি এখনো বলবৎ রয়েছে। জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার জানিয়েছে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া এবং নেভাদা ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি এবং প্রায় ১০ ইঞ্চি দেখতে পারে। হ্যারিকেন সেন্টার আরও জানিয়েছে, মূল ঝড় প্রবেশের আগেই বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। সূত্র : সিএনএন
ঠিকানা/এম