চৈত্রের করতপ্ত দুপুরে নিঃসঙ্গ পাখি যেমন করে,
পাতার ফোকার গলিয়ে খুঁজে নেয় সঙ্গী, আর
সুতীব্র সরীসৃপের মতো এক ফোঁটা বৃষ্টির প্রার্থনায়
নতজানু হয় মন।
শুধু প্রকৃতি নয়-মানুষও তখন অসহায় প্রাণী।
যদিও আকাশজুড়ে শূন্যতার হাহাকার,
আঁচড়ে পড়ে পৃথিবীতে যেন এক বিভাগী জ্যোৎস্নার ঢেউ
আসলেও জানে না তা কেউ।
কী করে প্রাণ ফিরে পায় পৃথিবীর তাবৎ জিনিস
বৈশাখ আসলে। মেঘলা আকাশও যে এত শক্তি
ধরে রাখে চৈত্রের ঝরা পাতার শব্দ
আর গনগনে আগুনের তাপ এক উজ্জ্বল
হিরণতায়। যেন জেগে ওঠে পৃথিবীরÑ
জুঁই ফুল শরীর।
বৈশাখ আসলে যেন খুলে যায় সকল অর্গল
তারপর জেগে ওঠে একে একে শূন্যতার
বুক চিত্রে সৃষ্টি চিহ্ন সকল